নিজস্ব প্রতিনিধি: গত রবিবার ত্রিপুরা গিয়ে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফেরেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে আচমকাই বিজেপিতে যান রাজীব। কিন্তু ডোমজুড়ে নিজের আসনেই গো হারা হারেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। তারপরেই ক্রমশ দূরত্ব বাড়াতে থাকেন বিজেপির থেকে। তৃণমূলে সুযোগ বুঝেই ফিরে ‘অনুতপ্ত ও লজ্জিত’ বলেন ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক। যার পাল্টা ক্রমাগত আক্রমণ করছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে রাজীবের ঘরওয়াপসির কথা মাথায় রেখে শুভেন্দুর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন কল্যাণ বাবু। তিনি জানিয়েছেন, ‘রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আরও অনেকে আছে। দেখতে থাকুন। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া নেতারা ফিরে আসবেন। শুভেন্দু রাগ করিস না ভাই। অনেক কথা বলে ফেলেছি। কখন কোনওদিন তুইও চলে আসবি, তার তো কোন ঠিক নেই। যাদের যাদের সম্বন্ধে সমালোচনা করেছিলাম, তাদের সবাইকে বলছি কেউ রাগ করিস না। তখন তোরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিলি তাই বলে ছিলাম। আবার কবে কোন দিন চলে এসে আমার চেয়ে কাছের বেশি তৃণমূলের হয়ে যাবি তোরা।’
এদিন গানের সুরে রাজীবকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি গান গেয়ে বলেন, ‘আমি সব পারেতেই আছি গাঙের জলে ভাসিয়ে দিয়ে ডিঙা, আমি দুই নদীতেই নাচি, মানে তৃণমূলে নাচছে, বিজেপিতেও নাচছে। একবার চলে যাব মা বলে, একবার চলে যাব মোদীর কাছে। এপার ওপার কোন পারে জানিনা দুই পারেতেই আছি। ও আমি মাঝ দরিয়ায় ভাসি, দৌড়ে চলে যাব মা বলে আবার চলে যাব মোদীর কাছে। দুই চোখে দুই জলের ধারা মেঘনা-যমুনা। মমতাদি এক কোণে মোদীজি আরেক কোণে। গঙ্গা আমার মা, পদ্মা আমার মা, এপার ওপার কোনপার জানি না, বুঝতে পেরেছেন, মানে কখন তৃণমূলে, কখন বিজেপি বুঝতে পারছি না।’