নিজস্ব প্রতিনিধি: শনি সকাল থেকেই রাজ্যে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) ভোটগ্রহণের পালা। আর সকাল থেকেই জেলায় জেলায় আক্রান্ত হচ্ছেন বাংলার শাসক দল(Bengal Ruling Party) তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সমর্থক থেকে কর্মী, বুথ এজেন্ট থেকে প্রার্থীরা। সকাল থেকেই বেলা ১২টার মধ্যে ৪জন তৃণমূলকর্মী খুন(Murder) হয়ে গিয়েছেন। আর এই ঘটনার জেরে এদিন শাসকদলের তরফে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। তিনি তৃণমূলকর্মীদের ওপর এই আক্তমণের ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর(Central Para Military Force) নির্লিপ্ততাকেই দায়ী করেছেন। কার্যত তাঁদের মনোভাবকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। এদিন সকালে যে ৪জন তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ১জন কোচবিহারের, ১জন মালদার, ১জন মুর্শিদাবাদের এবং সর্বশেষজন নদিয়া জেলার।
আরও পড়ুন Smart City-তে আজ পঞ্চায়েত ভোট, আছে বয়কটও
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে নদিয়ায় জেলার চাপড়ায় এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। চাপড়ার কল্যাণদহে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে। শাসকদলের দাবি, দলবদ্ধ ভাবে ভোট দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালায় কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় ১১ জন তৃণমূল কর্মী গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে চাপড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি করানো হয়। সেখানেই আমজাদ হোসেন নামে এক তৃণমূল কর্মীকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে চাপড়ার তৃণমূল বিধায়ক রুকবানুর রহমান জানিয়েছেন, ‘তৃণমূল সমর্থক ভোটারেরা ভোট দিতে যাওয়ার সময় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালায় কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা। সন্ত্রাস করে এলাকার দখল করতে চাইছে কংগ্রেস। তবে মানুষ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার বুঝে নেবে।’
আরও পড়ুন ভোট সকালেই ৩ জেলায় খুন ৩ তৃণমূল কর্মী
আর এদিন ৪জন তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় দলের তরফে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘ছোট বড় সব চ্যানেল মিলিয়ে গোলমালের খবর এখনও পর্যন্ত ৪৩টা বুথে। বাকি ৬১ হাজার বুথ পুরো শান্তিতে ভোট চলছে। মিডিয়ার একাংশের আতঙ্ক বিপণনে প্রভাবিত হবেন না। নদিয়ার হাঁসখালি-২ ব্লকে আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গুন্ডাদের দ্বারা জঘন্য হামলার আমি তীব্র নিন্দা জানাই। বিজেপি যে নিরলস সহিংসতা চালাচ্ছে তা আমাদের গণতন্ত্রের ওপর এক নির্লজ্জ এবং ভয়ঙ্কর আক্রমণ। প্রার্থীদের বাড়িঘর ভাঙচুরের নির্লজ্জ কর্মকাণ্ড নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। মেরুদণ্ডহীন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা একেবারেই হতাশাজনক। তাঁরা ডিউটিতে এসে নির্বিকারভাবে দাঁড়িয়ে আছে। আর এই কারণেই নিরপরাধ লোকেরা এই নৃশংস হামলার শিকার হচ্ছে। নির্বাচনী নৈতিকতার প্রতি এই স্পষ্ট অবজ্ঞা একটি ভয়ঙ্কর বিশ্বাসঘাতকতা।’