নিজস্ব প্রতিনিধি, হলদিয়া : সাংসদ কোটার ৮২ লক্ষ টাকার কাজ না হওয়া দুর্নীতির অভিযোগ কুণাল ঘোষের, তদন্তের দাবি জানালেন তিনি।
সাংসদ থাকাকালীন হলদিয়া(Haldia) পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পরাণচক শিক্ষানিকেতনে কুণাল ঘোষ ৮২ লক্ষ টাকা সাংসদ কোটার টাকা অনুমোদন করেছিলেন ২০১৭ সালে। সেই টাকা ঠিক মতো ব্যবহার না হওয়ার অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার স্কুলে কাজ পরিদর্শন করলেন প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ(kunal Ghosh )।
সাংসদ থাকাকালীন কুণালবাবু পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৩৪ টি স্কুলে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা দিয়েছেন। অধিকাংশ স্কুলের কাজ সম্পূর্ণ হলেও হলদিয়ার পরাণচক শিক্ষানিকেতনে মাঝ পথেই কাজ আটকে রয়েছে। এত টাকা দেওয়ার পরে কেন কাজ সম্পূর্ণ হলো না তা খতিয়ে দেখতে স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন কুণাল ঘোষ। তার দাবি দুর্নীতির(Coruption) আঁচ পাচ্ছেন তিনি। যাতে সুন্দরভাবে স্কুলের কাজ সম্পূর্ণ তার জন্য যা যা করনীয় আইনের ব্যবস্থা গ্রহন করার দরকার তা করবেন বলে জানান কুণালবাবু। তিনি অভিযোগ করেন, অনৈতিকভাবে এই স্কুলকে উন্নয়নের কাজে বঞ্চিত করা হয়েছে । যা তিনি কোন কারণেই মেনে নেবেন না। স্কুলের উন্নয়নে ঘৃণ্য রাজনীতির বিষয়টিকে তিনি তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন।
কুনাল ঘোষ দাবি করেন, যে তিনি সাংসদ থাকাকালীন ৩৫টি স্কুলকে মোট ৪কোটি ২৯লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা দিয়েছিলেন ।এর মধ্যে যে স্কুলটিতে কাজ অর্ধেক হয়ে বন্ধ হয়ে রয়েছে, সেই স্কুলটিকে তিনি ৮২ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও অর্ধেক কাজ হওয়ার পর যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জেলা শাসক(DM) দপ্তরে পাঠাতে হয় তা না পাঠানোয় ২১ লক্ষ টাকা এখনো তহবিলে পড়ে রয়েছে। কুনালবাবুর দাবি ,এই গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে ।কারণ যে পুরসভা(Municipality) দায়িত্বে ছিল এবং যে কন্টাকটার এটি তৈরি করেছেন তার প্রকৃত পেছনে কারণ কি এবং সঠিকভাবে এই কাজ দেওয়া হয়েছিল কিনা সবটা নেই সঠিক তদন্ত হলে সঠিক তথ্য সামনে আসবে ।আর এর জন্য তিনি তার যা যা প্রক্রিয়া করার তা এবার করবেন।