নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপির নবান্ন অভিযানের মিছিলে নেই স্পিরিট। নেই তেমন জমায়েত। এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (KUNAL GHOSH)। তাঁর খোঁচা, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের (DILIP GHOSH) কথা শোনেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বঙ্গ বিজেপিকে দিলীপ ঘোষের পরামর্শ ছিল, যেখানেই মিছিল বাধার মুখে পড়বে সেখানেই যেন গেরুয়া শিবিরের নেতা ও কর্মীরা বসে পড়েন। তবে সেই পথে হাঁটেননি শুভেন্দু অধিকারী। দেখা যায়, রাহুল সিনহাকে আটক করার পরে পিটিএসের কাছে বাধা দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারী (SUVENDU ADHIKARY), লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ মিছিলকে। ব্যারিকেডে বারবার ধাক্কা দিতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। দীর্ঘ বাদানুবাদের পরে লকেটকে প্রথমে আটক করা হয়। তারপরে আটক করা হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁদের তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, দিলীপের পরামর্শ শোনেননি শুভেন্দুরা। যেখানে আটকানো হয়েছে সেখানে বসে পড়তে পারতেন তাঁরা। কিন্তু তা পারেননি। কুণালের কটাক্ষ, বিজেপিতে লোকবল নেই। নেই স্পিরিটও।
অবশেষে দেখা যায়, যার নেতৃত্বে মিছিল সেই শুভেন্দু অধিকারী আটক হওয়ার পরে তাঁকে ছাড়াই এগিয়ে যায় মিছিল। সেই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তবে প্রশ্ন উঠছে, কেন দিলীপ ঘোষের পরামর্শ শুনে বাধাপ্রাপ্ত স্থানে বসেই বিক্ষোভ দেখালেন না শুভেন্দু অধিকারী, লকেট এবং কর্মীরা, তা নিয়েও। এদিন বিজেপির মিছিল আটকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে বজ্র, কাঁদানে গ্যাস, জল কামান, গার্ড রেল, ব্যারিকেড ছিল।