নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মণ শেঠ দাপুটে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাই তাঁর পরিচয়। এবাদেও তাঁকে অনেকে চেনেন হলদিয়ায় একাধিক স্কুল- কলেজের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। একসময় ছিলেন দাপুটে বাম নেতা। তারপর যোগ দিয়েছিলেন পদ্মশিবিরে। এরও পরে বিজেপি ছেড়ে যোগ দেন কংগ্রেসে। হয়েছিলেন লোকসভা ভোটের প্রার্থীও। যোগ দিতে চেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরেও।
সেই লক্ষ্মণ শেঠ (LAKSHMAN SETH) কি না লুকিয়ে লুকিয়ে পড়াশোনা করতেন! রীতিমত গবেষণা করেছেন তিনি। আর সেই গবেষণার জন্যই ‘ডিলিট’ পেলেন লক্ষ্মণ শেঠ। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধিরা এসে তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন সম্মান।
৭৩ বছর বয়সে তিনি পেয়েছেন এই সম্মান। রাজনীতির বাইরে দীর্ঘদিন গবেষণার কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। গৌতম বুদ্ধ এবং সাম্যবাদ ছিল তাঁর গবেষণার বিষয়। তাঁকে ‘ডিলিট’ (D. Litt.) সম্মান দিয়েছে কর্ণাটকের টুমকুর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা হলদিয়ায় এসে তাঁর হাতে এই সম্মান তুলে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, আমাদের দেশে সমাজের প্রবক্তা গৌতম বুদ্ধ। রাজত্বের মোহ ছেড়ে তিনি সন্ন্যাসী হয়েছিলেন। প্রবর্তন করেছিলেন বৌদ্ধ ধর্ম। এরপর তিনি নির্বাণ লাভা করেছিলেন। গৌতম বুদ্ধ ও সাম্যবাদই ছিল লক্ষ্মণ শেঠের মূল গবেষণার বিষয়।
দীর্ঘদিন রাজনীতির বাইরে লক্ষ্মণ শেঠ। এই দীর্ঘ সময় তিনি যে গবেষণার কাজে ব্যস্ত ছিলেন, তা ছিল অনেকেরই অজানা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধিরা এসে তাঁকে এই সম্মান প্রদান করার পর, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এই বয়সেও শিক্ষায় মনোনিবেশ করা এবং গবেষণার জন্য তাঁর প্রশংসা করছেন অনেকেই।
গত এপ্রিল মাসে তিনি যোগদান করতে চেয়েছিলেন তৃণমূলে। বলেছিলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ম নিরপেক্ষ এবং আদর্শের পক্ষে। জনকল্যাণমূলক কাজে উদ্যোগী তিনি। তিনি অনুমতি দিলে তৃণমূলে যোগ দিতে চান লক্ষ্মণ।