নিজস্ব প্রতিনিধি: সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে বকটুই (BAGTUI) কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। সোমবার এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই মৃতের দিদির দাবি, খুন করা হয়েছে লালনকে। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, তার সামনেই খুন করা হয়েছে স্বামীকে। এমনকি মারা হয়েছে তাঁকেও। প্রশ্ন উঠছে সিবিআইয়ের তদন্ত এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।
সিবিআই (CBI) পুলিশের কাছে জানিয়েছে, আত্মহত্যা করেছেন মূল অভিযুক্ত। তবে এই ‘দাবি’ মানতে নারাজ মৃতের পরিবার। মৃতের দিদির দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁর ভাইকে। তিনি বলেন, ‘সিবিআইয়ের শাস্তি চাই’। মৃতের স্ত্রী রেশমা বিবির দাবি, তাঁর সামনেই খুন করা হয়েছে লালনকে। শুধু তাই নয় আরও অভিযোগ, মারধর করা হয়েছে লালনের স্ত্রীকেও।
আরও পড়ুন: সিবিআই হেফাজতে রহস্যজনক মৃত্যু বকটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের
উল্লেখ্য, লালনের শারীরিক অসুস্থতার কোনও খবর ছিল না। প্রশ্ন, তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে থাকাকালীন কী করে মৃত্যু হল লালনের? সিবিআই অস্থায়ী ক্যাম্পে থাকাকালীন এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
প্রায় ৯ মাস ফেরার থাকার পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল লালনকে। তারিখটা ৩ ডিসেম্বর। উল্লেখ্য, তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের অন্যতম ছায়াসঙ্গী ছিলেন লালন।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ সন্ধ্যায় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হয়েছিলেন। আর তারপরেই ভাদু শেখের অনুগামীরা একের পর এক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১০ জনের। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ২৭ জন।