-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 8:55 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: মুর্শিদাবাদ(Murshidabad) জেলার সাগরদিঘী(Sagardighi) বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন(Assembly Bye Election) অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২৭ ফেব্রুয়ারি। এদিন অর্থাৎ ২ মার্চ সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে শুরু হয়েছে সেখানে ভোট গণনার পালা। প্রাথমিক যে ট্রেন্ড মিলেছে তাতে দেখা যাচ্ছে পোস্ট্যাল ব্যালটের ভোটে এগিয়ে যাছেন বাম-কংগ্রেস জোটের(Left Congress Candidate) প্রার্থী বায়রণ বিশ্বাস(Bairan Biswash)। যদিও একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে হওয়া বেশ কিছু বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছিল পোস্ট্যাল ব্যালটে এগিয়ে থেকে লড়াই শুরু করছেন বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী। কিন্তু তারপর সময় যতই এগিয়েছে ততই তৃণমূলকে বিপুল ব্যবধানে জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। এদিন বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী বায়রণ বিশ্বাস ৫১৫ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। মনে করা হচ্ছে ভোট গণনা যতই এগোবে ততই এই ব্যবধান কমবে ও তৃণমূলের প্রার্থী লিড তুলে নিতে সক্ষম হবেন।
তৃণমূলের ৩ বারের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রত সাহা মারা যাওয়ায় উপনির্বাচন হচ্ছে সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে। বাম-কংগ্রেস জোট করে নির্বাচনে লড়াই করায় এ বার এই আসনে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। তৃণমূলের(TMC) তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী বায়রণ বিশ্বাস, বিজেপি(BJP) প্রার্থী হয়েছেন দিলীপ সাহা। ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা ৩টি বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে জোড়াফুল ফুটেছিল। তবে এ বার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ৩ পক্ষই। সকাল ১০টার সময় পাওয়া তথ্য বলছে দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষে বায়রণ এগিয়ে গিয়েছেন ২,০৮০ ভোটে। স্বাভাবিক ভাবেই এখন কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছে শাসক দলের প্রার্থী। শাসক শিবিরের আশা ছিল মহিলাদের ভোট যাবে তাঁদের পক্ষে। কিন্তু প্রাথমিক ট্রেন্ডে সেই হিসাব মিলছে না। আবার প্রায় ৩০ হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের ভোট রয়েছে এই বিধানসভা কেন্দ্রে যারা এবার অনুপস্থিত ছিলেন এবারের উপনির্বাচনে। এই ভোট একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শাসক শিবিরে গিয়েছিল বলে অনেকেই মনে করছেন। কিন্তু এবারের সেই ভোটারদের অনুপস্থিতি শাসক শিবিরকে চাপে ফেলে দিয়েছে।
একই সঙ্গে আরও একটা পরিসংখ্যান উঠে আসছে। তা হল বিজেপির তৃতীয় স্থানে নেমে যাওয়া। তৃণমূলের নেতাদের দাবি। বাম-রাম-কংগ্রেস জোট হয়েছিল তলে তলে যা তাঁরা বুঝতে পারেননি। কার্যত ৩ দলের ভোটই পড়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থীর পক্ষে। তার জেরেই প্রথম দুই রাউন্ডেই এগিয়ে গিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী। তবে এখনও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আশাবাদী। বাংলার রাজনীতির ইতিহাস বলছে উপনির্বাচনের ফলাফল বেশির ভাগ সময়ে শাসকের পক্ষেই গিয়েছে। সেই জায়গায় এদিন যদি অঘটন কিছু ঘটে তাহলে বাংলার রাজনীতির ইতিহাসে তা এক মাইল ফলক হিসাবে থেকে যাবে। সেই সঙ্গে শাসক শিবিরকেও ভাবতে হবে কেননা এই ফলাফল হল। যদিও এদিন ১৬ রাউন্ড ভোট গণনা হবে। তার মধ্যে মাত্র ২ রাউন্ড গণনা শেষ হয়েছে। তাই এখনও অঘটন ঠেকানো সম্ভব বলেই তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন।