নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরুলিয়ার জঙ্গলে চিতার বিচরণ। বনদফতরের ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই ছবি। পুরুলিয়া বনবিভাগের কোটশিলা বনাঞ্চলের সিমনি বিটের জঙ্গলে বনদফতরের ট্র্যাপ ক্যামেরায় উঠে এসেছে এই ছবি।
পুরুলিয়া জেলা বনদফতরের ডিএফও দেবাশিষ শর্মা বলেন, দুসপ্তাহ আগে কোটশিলা বনাঞ্চলের সিমনি বিটের জঙ্গলের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা অভিযোগ জানান। তাদের অভিযোগ আশে-পাশের গ্রামের গবাদি পশু জঙ্গলে ঢুকলে আর ফেরে না। জঙ্গলে খোঁজ করতে গেলে দেখা যায় পশুর রক্তাক্ত দেহাবশেষ। এমন অভিযোগ পাবার পর জঙ্গলে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় বনদফতর। আর তারপরই ক্যামেরায় ধরা পড়ে চিতার ছবি। বনদফতরের ওই আধিকারিক আরও বলেন, সিমনি বনাঞ্চলে সমৃদ্ধ হচ্ছে ফরেস্ট প্রোটেক্ট কমিটিগুলি। তারা ভালো কাজ করছে। এই এলাকায় আরও চিতাবাঘ থাকতে পারে। আমরা যেখানে নমুনা দেখতে পাব সেখানেই ট্র্যাপ ক্যামেরা বসিয়ে দেখব।
চলতি বছরে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ট্র্যাপ ক্যামেরায় ওই চিতা ধরা দেওয়ার পর পুরুলিয়া বনবিভাগ বাংলা-ঝাড়খণ্ডের জঙ্গল নিয়ে নানান তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করে। ওই চিতার ছবি সহ রিপোর্ট অরণ্য ভবনে পাঠানো হয়। আর তারপরেই পুরুলিয়ার ওই জঙ্গলে ২৪ ঘণ্টা নজরদারির মাধ্যমে পুরুলিয়া বন বিভাগকে ‘ট্র্যাকস অ্যান্ড ট্রেল’-এর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য বন দফতর। পুরুলিয়ার ওই জঙ্গল প্রতিবেশি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে মিশে রয়েছে। ক্যামেরায় ট্র্যাপ করা ওই চিতার পায়ের ছাপ, তার শিকার, বিষ্ঠা, গতিবিধি, জল পান করার জায়গাকে সামনে রেখে ধারাবাহিকভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত ২০১৫ সালের ২০ জুন জঙ্গল থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে কোটশিলা বনাঞ্চলের টাটুয়ারা গ্রামে একটি চিতা ঢুকে যায়। লোকালয়ে ঢুকে যাবার পর সেই চিতাটিকে পিটিয়ে মারে গ্রামবাসীরা।