নিজস্ব প্রতিনিধি: ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চালুর অনুমতি মিললেও সেটা যে শুধু খাতায় কলমেই থাকবে তা বুঝিয়েছিল ছুটির দিন রবিবারের ভিড়। সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন অফিস টাইমে ভিড় হল বাদুরঝোলা। কিন্তু আসল চ্যালেঞ্জ ছিল রেলকর্তাদের সময়মতো ট্রেন চালানো। কিন্তু প্রায় ৬ মাস পর রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার পর সোমবার, সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনে দেখা গেল সেই চ্যালেঞ্জ সামলাতে কার্যত ল্যাজেগোবরে অবস্থা রেলের। কোথাও যাত্রীবিক্ষোভ, কোথাও রেল অবরোধ আবার কোথাও যান্ত্রিক সমস্যায় থমকে গেল লোকাল ট্রেন। যদিও সমস্যা কাটিয়ে কোনও রকমে পাস করেছে প্রথম দিনের লোকাল ট্রেনের ১০০ শতাংশ পরিষেবা।
সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন পূর্ব রেলের হাওড়া ও শিয়ালদা শাখায় ঠিকঠাকই চলছিল লোকাল ট্রেন পরিষেবা। সমস্যার শুরু হয় ব্যান্ডেল-কাটোয়া লাইনে। অভিযোগ, অফিস টাইমে একটি ট্রেন ইসলামপাড়া হল্ট স্টেশনে না দাঁড়িয়ে থ্রু চলে যায়। ফলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তাঁরা লাইনে নেমে অবরোধ শুরু করে দেন। মহিলা যাত্রীরাও শামিল হন রেল অবরোধে। নিত্যযাত্রীদের প্রশ্ন, এতদিন পর লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার পর গ্যালোপিং ট্রেন চললে লাভ কী? সব স্টেশনে ট্রেন না দাঁড়ালে সমস্যা বাড়বেই। ফলে এদিন ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখায় পরপর স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। চরম সমস্যায় পড়েন অফিসযাত্রীরা। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর আরপিএফ অবরোধকারীদের হঠিয়ে দেয়।
একই সমস্যায় পূর্ব বর্ধমানের কালনা, ধাত্রীগ্রাম, সমুদ্রগড় স্টেশনে দু’ঘন্টা ধরে স্তব্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ অবরোধে চরম অসুবিধার সম্মুখীন নিত্যযাত্রীরা। পাশাপাশি স্টেশনগুলিতেও ছিল তুমুল ভিড়। অপরদিকে শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার মধ্যমগ্রাম স্টেশনে সিগন্যাল প্যানেলে সমস্যা দেখা দেয় সোমবার সকালে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্যানেল ইন্টারলকিং সিস্টেম ঠিকমতো কাজ না করায় পরপর স্টেশনে থমকে যায় ট্রেন। ফলে বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। যদিও দ্রুত সমস্যার সমাধানে নেমে পড়েন রেলকর্মীরা। আবার রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, শিয়ালদা স্টেশনে রেল ও আরপিএফ যৌথ উদ্যোগে বিনা মাস্কের যাত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে সোমবার সকাল থেকেই। মাস্ক ছাড়া যাত্রীদের ধরলেই আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে। তবে ভিড় নিয়ন্ত্রনে কোনও উদ্যোগই এদিন চোখে পড়েনি।