নিজস্ব প্রতিনিধি,মহিষাদল: কায়তান স্পর্শ জল খেলেই সেরে যায় রোগ, দূর থেকে পুণ্যার্থীরা রোজ ভিড় জমান সেই জলের আশায়।পূর্ব মেদিনীপুরের(East Medinipur) মহিষাদলের কেশবপুরের মাইতি পরিবারের (Maity Family)প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো পুজোকে ঘিরে মেতে ওঠেন কয়েক হাজার মানুষ। মানুষের বিশ্বাস সংরক্ষিত কায়তান স্পর্শ জল খেলে সমস্ত রোগ সেরে যায়।
সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। দূর দূরান্ত থেকে লোক আসেন সেই বিশ্বাস থেকেই। কেশবপুরের মাইতি পরিবারে দুর্গাপূজা প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো।প্রথমে হতো ঘট পূজা, কিছু বছর ঘট পুজো হওয়ার পরে কুল-পুরহিত স্বপ্নাদেশ পান। রূপনারায়ণ নদের(Rupnarayan River) সাথে সংযুক্ত একটি খাল গেছে ওই মন্দিরের পাশ দিয়ে। ওই নদীর পাশে একটি গাছে কাঠামো এবং কায়তান আটকে রয়েছে। সেই দিন থেকে ওই একই কাঠামোয় পূজো হয়ে আসছে।
শুধু পুজোর দিন নয়, অন্যান্য বাকি দিনগুলোতেও দূর দূরান্ত থেকে লোক আসেন কায়তান স্পর্শ জল খাওয়ার জন্য। বর্তমান সময় ১২ টি পরিবার মিলে এই পুজোর খরচ সামলান। অষ্টমীর দিন প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার লোকের ভিড় হয় পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার জন্য। এক কথায় পুরনো আভিজাত্য না থাকলেও ভক্তের মিছিলে আজও অনন্য মহিষাদল – এর কেশবপুরের মাইতি বাড়ির পুজো।