নিজস্ব প্রতিনিধি,পুরাতন মালদহ ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা: শনিবার মদ্যপ পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় আহত হলেন দুই মহিলা এবং এক যুবক। শনিবার দুপুরে বাম্পারের দাবিতে পুরাতন মালদহের সেতু মোড়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে, ট্রাফিক এবং মালদহ থানার (Malda P.S.)পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে দেন। স্থানীয়দের দাবি, দুর্ঘটনায় সোনালি হালদার, পুজা বিশ্বাস এবং শাহরুখ শেখ আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে, সোনালি এবং পুজাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের গাড়ির চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন, দাবি স্থানীয়দের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশের গাড়ির চালক পার্থ মণ্ডল। স্থানীয়দের দাবি, সেতু মোড়ে মুখ্যমন্ত্রীর(CM) সফরের সময় বাম্পার তুলে দেওয়া হয়েছিল।তার পরে আর বাম্পার বসানো হয়নি। ফের বাম্পারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। পুলিশ অতি দ্রুত ওই এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফের বাম্পার বসানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় অবরোধকারীরা অবরোধ তুলে নেয়। এই অবরোধের দরুন ওইদিন ওই এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
এদিকে,দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলপি ব্লকের(Kulpi Block) বাবুর মহল গ্রাম পঞ্চায়েতের তারাচাঁদপুর গ্রামের ঝিংড়া খালের উপর কাঠের ব্রিজটি বাবুর মহল গ্রাম পঞ্চায়েত ও কেওড়াতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। ১২০ ফুটের দীর্ঘ এই কাঠের সেতুটির(Wood Bridge) একদিক থেকে অন্য দিকে যেতে যেখানে তিরিশ সেকেন্ড সময় লাগে, এখন সেই জায়গাটায় ঘুরে আসতে হয় ৪ কিলোমিটার রাস্তা বেড় দিয়ে। ব্রিজটিতে দিনের বেলা গুটিকয়েক মানুষ অতি কষ্টে চললেও সন্ধ্যার পর চলাচল একেবারে বন্ধ। কারণ আজ তিন বছর ধরে এই ব্রিজের কোথাও এক ফুট, দু ফুট, কোথাও তিন ফুট কোন কাঠ নেই। ব্রিজের দুদিকে রেলিং গুলো ভেঙে গেছে। দুদিকের কাটগুলো এতটাই দুর্বল ভুলবশত সেখানে পা পড়লে চলে যেতে হবে খালের মধ্যে।
এমনিভাবে বহু দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে মানুষ। ভ্যান অটো- টোটো তো দূরের কথা কোন রোগী থেকে আরম্ভ করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা একা সাহস করে যেতে পারে না। ওই এলাকার কয়েকজন প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক তারা জলে নেমে খাল পেরিয়ে ভিক্ষে করতে যান । বহুবার রাজনৈতিক নেতা থেকে বিডিও এসডিওর কাছে জানিয়ে আজও নেতাদের শুকনো আশ্বাস ছাড়া কিছুই হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এলাকার মানুষ ভোট বয়কটের হুমকি দিয়ে রেখেছেন। বিজেপি জোটের পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শাসক দল প্রশাসনকে দিয়ে উপ সমিতি গঠন আটকে রেখেছেন তাই তারা সংস্কারের কাজে হাত দিতে পারছেন না।