নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় এক ভুয়ো পরীক্ষার্থী সহ দুই পান্ডাকে গ্রেফতার করল মালদা থানার পুলিশ । ধৃত ওই মহিলা ভুয়ো পরীক্ষার্থী সহ আরো দুজনকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়।রবিবার সারা রাজ্যের সাথে মালদাতেও ছিল প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা(TET Exam)। আর এই টেট পরীক্ষার কেন্দ্র হয়েছিল মঙ্গলবাড়ী গৌড় মহাবিদ্যালয়ে এবং সেই পরীক্ষা কেন্দ্রে এক মহিলা অন্য এক মহিলার এডমিট কার্ড এবং পরিচয় পত্র নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে বায়োমেট্রিক দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে প্রশ্নপত্র পেয়ে যায় ।
কিন্তু পরীক্ষা পরিদর্শকের সন্দেহ হয় ওই ওই পরীক্ষার্থীর উপরে। পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞেস করলে কথাবার্তায় অসংলগ্ন পাওয়া যায় এবং পরবর্তীতে জানা যায় পরীক্ষার্থীর আসল পরিচয়। ওই ভুয়ো পরীক্ষার্থীর নাম পুষ্পাঞ্জলি কুমারী (৩২), বাড়ি বিহারের পূর্নিয়া জেলায়। সে পুলিশের জেরায় স্বীকার করে পুকুরিয়া থানার হরিপুর গ্রামের(Haripur Village) এক যুবতীর পরীক্ষায় বদলে সে পরীক্ষা দিতে এসেছিল। কিছু টাকার বিনিময়ে এবং এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গৌর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মালদা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে অভিযোগ করে । অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে এবং মূল পান্ডাদেরকে ধরার জন্য রবিবার খবরটি গোপন রাখা হয়।পরবর্তীতে ধৃত ভুয়ো পরীক্ষার্থীর মোবাইল থেকে ফোন করা হয় আরো দুই সাগরেদকে এবং জানানো হয় পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়েছে। রবিবার রাত্রে মঙ্গলবাড়ী রেল গেটের কাছে অভিযুক্ত দুজন আসলে মালদা থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
ধৃতদের মধ্যে রয়েছে বিশ্বজিৎ মন্ডল( ৩১) বাড়ি পুকুরিয়া থানার হরিপুর গ্রামে এবং অপর জনের নাম বিজয় কুমার( ৩৩), বাড়ি বিহারের পূর্ণিয়া জেলায়। জানা গেছে, ধৃত বিশ্বজিৎ মন্ডলের স্ত্রীর পরীক্ষা দেওয়ার জন্যই পুষ্পাঞ্জলি কুমারী কে কন্ট্রাক্ট করা হয়েছিল কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি । সোমবার ধৃত তিনজনকেই মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়। তবে পুলিশ আরো কিছু ভুয়ো পরীক্ষার্থীর চক্রের সন্ধান পেয়েছে। পুরো ঘটনা তদন্তে নেমেছে মালদা থানার(Malda P.S.) পুলিশ।