নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election 2024) জন্য দলের প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে ফের উত্তরবঙ্গে(North Bengal) গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন তাঁর প্রথম সভা ছিল কোচবিহার জেলার(Coachbehar District) দিনহাটায়(Dinhata)। সেই কোচবিহারে আবার তৃণমূলের মূল প্রতিপক্ষ বিজেপির সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক(Nishith Pramanik)। স্বাভাবিক ভাবেই কোচবিহারের মাটিতে দাঁড়িয়ে মমতা সভা করবেন বিজেপির বিরুদ্ধে আর নিশীথকে নিশানা বানাবেন না সেটা কী হয়! তাই দেখে গেল মমতার নিশানায় চলে এসেছেন দেশের ‘কচি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’। হ্যাঁ মমতা এদিন এই শব্দেই নিশীথকে নিশানা বানিয়েছেন। কার্যত কোচবিহারে দাঁড়িয়ে বিজেপি প্রার্থী নিশীথকে নাম না করে খোঁচা দিয়েছেন মমতা। আবার আক্রমণও করেছেন কড়া ভাবে।
এদিন মমতা বলেন, ‘আমাদের বাসুনিয়া সাহেব নিপাট ভদ্র লোক। আর বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে কাকে? দানব দস্যু। কত কেস আছে তার বিরুদ্ধে। বিএসএফ, পুলিশের একাংশ, আর চোরা কারবারিদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে বোমাবাদজি করেন। শীতলকুচিতে পুলিশকে দিয়ে গুলি চালিয়ে পাঁচজনকে হত্যা করেছিল। এর মদতে গরুপাচার, আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। এর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। তিনি যে কচি হোম মিনিস্টার। কচি কাঁচা হোম মিনিস্টার। কচি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আমার কাছে লেখা আছে। চ্যালেঞ্জ করলে কেস দিয়ে দেব। আবার বলছে তৃণমূল চোর! লজ্জা করে না বলতে? তোমার প্রার্থী তো গুন্ডা। NIA-কে দিয়ে মেয়েদের অসম্মান করে, সংখ্যালঘুদের ভয় দেখায়, আর কোটি টাকা ডিল করে। খবর আমিও রাখি। ওদের মেশিনারি আছে, আমারও আছে। CBI, NIA-কে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাইক নিয়ে ঘোরে। গুন্ডা নিয়ে ঘোরে। আর পুলিশ প্রশাসন দেখেও চুপ। কী হবে? সরিয়ে দেবে? কোচবিহারে আইন শৃঙ্খলা নিয়ে অসুবিধা হলে আমি ছেড়ে কথা বলব না।’
এর পাশাপাশি মমতা বলেন, ‘জিজ্ঞাসা করুন কী কাজ করেছেন কোচবিহারের জন্য? ছিট মহল কে করেছিল? আমি করেছিলাম। বিজেপি নয়। কোচবিহার বিমানবন্দর কে করেছিল? আমি করেছিলাম। কোচবিহার স্টেশনও নতুন করে করে দিয়েছি। পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি সব আমি করে দিয়েছি। আমরা করব সব, আর ভোট পাবে বিজেপি, তা কখনও হয়? সব থেকে বড় চোর আপনার প্রার্থী। ওকে ধরুন।’ এদিন মমতা দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহকেও(Udayan Guha) নির্বাচন চলাকালীন সময়ে মাথা ঠান্ডা রাখার পরামর্শ দেন। বলেন, ‘উদয়নকে বলব Be Cool, Stay Cool। ভোট ঠান্ডা মাথায় করতে হবে। ও তোমাকে গন্ডগোলে ফেলে ভোট বিএসএফ-কে দিয়ে করিয়ে নেবে। ভুলেও সেটা করো না। ভুল করতে দিও না। নিজেকে আগে থেকে তৈরি রাখো। মাথা ঠান্ডা রাখুন। শান্তি বজায় রাখুন। ১৯ তারিখ ভোট। ১৭ তারিখ যেন কোনও মিটিং-মিছিল না হয়। ঠান্ডা মাথায় নির্বাচন করতে হবে। শান্তি বজায় রাখো।’