নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ২৮ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) গিয়েছেন জেলা সফরে। প্রথমে কোচবিহার, তারপর শিলিগুড়ি হয়ে এদিন তিনি উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে পদযাত্রা ও সভা করেছেন। আগামিকাল অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি তাঁর সভা থাকছে মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। পরের দিন অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি তিনি সভা করবেন নদিয়া জেলার শান্তিপুরে। সেই সভা সেরে সেদিনই কলকাতায় ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী। যোগ দেবেন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে। পরের দিন অর্থাৎ ২ তারিখ থেকে তিনি কলকাতায় দেশের সংবিধানের প্রণেতা বাবা সাহেব আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসবেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বাংলাকে বঞ্চনা করার দাবিতে। আবার ৫ তারিখ থেকে বসতে চলেছে রাজ্য বিধানসভার(West Bengal State Assembly) বাজেট অধিবেশন(Budget Session)। ৭ তারিখ রাজ্য বাজেট পেশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই বাজেট পেশের পরেই মুখ্যমন্ত্রী ২ দিনের জন্য জঙ্গলমহল(Junglemahal) সফরে যেতে পারেন বলে এদিন নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিন রায়গঞ্জের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বাজেট অধিবেশন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। সেই সঙ্গে নিশানা বানিয়েছিলেন কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকারকেও। জানিয়েছিলেন, ‘সামনে আমার বাজেট আছে। গিয়ে আমাকে বাজেট পেশ করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কিন্তু বাজেট নেই এ বার। আছে ভোট অন অ্যাকাউন্টস। শুধুমাত্র মাইনে দেওয়ার জন্য টাকা পাশ করা। কিন্তু ওরা অনেক কথা বলবে। ওদের বাজেট হবে না হলেও আমাদের হবে। ভোটের বছরে পূর্ণাঙ্গ বাজেট হয় না, ভোট অন অ্যাকাউন্টস হয়। তা-ও দেখবেন মিথ্যে কথা বলছে। বলবে আমি চাল দেব, টাকা দেব, আবার ১৫ লক্ষ টাকা করেও দেব। আরে ভোটের পর তো ওরা চলে যাবে। আমরা থেকে যাব, আমরা সব কিছু দেব। দেওয়াও চালু রয়েছে।’
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত ৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেট পেশ করার দিন ধার্য হয়েছে। যদি তা পিছিয়ে যায় তাহলে মুখ্যমন্ত্রী ৬ এবং ৭ তারিখ জঙ্গলমহল সফরে যাবেন। সেক্ষেত্রে ৬ তারিখ পুরুলিয়া(Purulia) এবং ৭ তারিখ বাঁকুড়ায়(Bankura) থাকবে তাঁর কর্মসূচী। দুটি ক্ষেত্রেই তিনি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। কিন্তু বাজেটের দিন অপরিবর্তিত থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর জঙ্গলমহল সফরের দিন পিছিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তাঁর সফরে ঝাড়গ্রাম(Jhargram) ও পশ্চিম মেদিনীপুরও(Paschim Midnapur) যুক্ত হতে পারে।