নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য সরকারের চালু করা নানা প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে ও সেই আবেদনের পরবর্তী হালহকিকত দেখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যে চালু করেছিল বাংলা সহায়তা কেন্দ্র বা বিএসকে। পরবর্তীকালে ওই সব কেন্দ্র থেকে জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন আবেদনও করার সুযোগ করে দেওয়া হয়। গত বছরের ১২ অক্টোবর রীতিমত নির্দেশিকা জারি করে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। বিনামূল্যে আমজনতার কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ওই কেন্দ্রগুলি গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক বছরের মধ্যেই ওই প্রকল্প যে চূড়ান্ত সাফল্য পেয়েছে সেটারই নমুনা মিলল বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর করা টুইটে। ওই টুইটে মুখ্যমন্ত্রী বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের সাফল্য সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
এদিনের টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র বাংলার এক কোটি মানুষকে পরিষেবা দিয়েছে। এই মাইলস্টোন ছুঁতে পারার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন! ৩,৫৬১ বিএসকে তৈরি করা হয়েছিল সরকারি সাহায্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। বিষয়টি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে খুবই আনন্দিত আমি।’ রাজ্যের অনেক জায়গাতেই সাইবার ক্যাফে নেই। স্মার্টফোনও নেই বহু মানুষের কাছে। অনেকের বাড়িতে ইন্টারনেট পরিষেবা নেই আজও। তাই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে আমজনতাকে হয়্রানির মুখে পড়তে হত। সেই অসুবিধা দূর করতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথ্যমিত্র কেন্দ্রের ধাঁচেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ চালু করার সিদ্ধান্ত নেন। রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল, গ্রন্থাগার কিংবা পঞ্চায়েত অফিসে ওই সহায়তা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা সদর, মহকুমা সদর, ব্লক সদরেও একাধিক সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সবকটি বিএসকে’র ওপর সরাসরি নজর রাখে নবান্ন। কেননা ওই সব কেন্দ্রর থেকেই সরকারি সমস্ত সুযোগ সুবিধা অনলাইনে পাওয়া যায় এখন। তাই সেখানে যাতে কোনও রকমের দূর্নীতি বাসা না বাঁধে তার জন্যই এই নজরদারির ব্যবস্থা।