এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাড়তি ধানের পরে এবার বাড়তি দাম, উদ্যোগী মমতার সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রায় ৫০ লক্ষ টন ধান সরাসরি কৃষকদের(Farmers) কাছ থেকে ইতিমধ্যেই কেনা(Paddy Procurement) হয়েছে। তাই রেশন সরবরাহ, মিড ডে মিল ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য পর্যাপ্ত চাল সরকারের কাছে আছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের নিজস্ব রেশন প্রকল্পের গ্রাহকদের জন্য আগামী দিনে আরও চাল প্রয়োজন। তা‌ই দ্রুত ধান কেনার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে রাজ্যের খাদ্য দফতর থেকে নবান্ন প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল খোলা বাজার থেকে ওই বাড়তি চাল কেন হোক। কিন্তু তাতে রাজী হননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি উল্টে নির্দেশ দেন, চাষীদের কাছ থেকে বাড়তি দামে বাড়তি চাল কেনা হোক। তার জন্য কৃষক পিছু ধান কেনার উর্ধ্বমাত্রাও বাড়ানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্দেশ মেনেই এবার বিজ্ঞপ্তি দিল রাজ্যের খাদ্য দফতর। তাতে জানানো হয়েছে, এবার থেকে একজন চাষির কাছ থেকে ৪৫ কুইন্টালের জায়গায় সর্বোচ্চ মোট ৯০ কুইন্টাল ধান কেনা যাবে এবং চলতি মরশুমে স্থায়ী ক্রয় কেন্দ্রে কৃষকরা প্রতি কুইন্টাল ধান ২,২০৩ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ২০ টাকা বোনাস হিসেবে সরকার দেবে। অস্থায়ী শিবিরে ধান কেনা হবে কুইন্টাল পিছু ২১৮৩ টাকায়। এই বর্ধিত দাম এখন থেকেই লাগু হবে।

আরও পড়ুন Parking-এ বাড়তি Fee নিলেই মোটা অঙ্কের জরিমানা

কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকার Open Sale Scheme-এ রাজ্য সরকারকে চাল বিক্রি করতে রাজি নয়। এই অবস্থায় রেশন ব্যবস্থা চালাতে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার গতি বাড়াতে উদ্যোগী হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যদিও রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই ন্যূনতম সংগ্রহ মূল্যে প্রায় ৫০ লক্ষ টন ধান রাজ্য সরকার কিনে ফেলেছে। কিন্ত এপ্রিল মাসের পর থেকে এই কাজ কার্যত থমকে আছে বিভিন্ন কারণে। এই পরিস্থিতিতে ধান কেনার প্রক্রিয়ায় যুক্ত সরকারি সংস্থাগুলিকে রাজ্যের খাদ্য দফতর(Food Department) নির্দেশ দিয়েছে, অবিলম্বে ধান কেনার জন্য গ্রামগুলিতে অস্থায়ী শিবির খুলতে হবে। চালু করতে হবে ভ্রাম্যমাণ শিবিরও। আর সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে নির্দেশ আসার পরেই। শুধু তাই নয়, দ্রুত বেশি পরিমাণে ধান কিনতে নিয়মও কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। ৪৫ কুইন্টালের জায়গায় এক একজন কৃষকের কাছ থেকে ৯০ কুইন্টাল করে ধান কেনা যাবে এবং ধান বিক্রির জন্য আসা কৃষকের Aadhar Number Biometric Scanning’র মাধ্যমে যাচাই আর বাধ্যতামূলক থাকছে না। খরিফ মরশুমের গোড়ার দিকে যেভাবে ধান কেনা হচ্ছিল, সেভাবেই কেনা যাবে।  

আরও পড়ুন বিধানসভার অধিবেশন নিয়েও রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত রাজ্যপালের

আগামী খরিফ মরশুমের জন্য, যা অক্টোবর থেকে শুরু হবে, কেন্দ্রীয় সরকার কুইন্টাল প্রতি ২১৮৩ টাকা নূন্যতম মূল্য ধার্য করেছে। চলতি খরিফ মরশুমে ১৪৩ টাকা দাম বেড়েছে ধানের। রাজ্যের খাদ্য দফতর এই দামে এখন থেকে ধান কেনার জন্য নবান্নের অনুমোদন চেয়েছিল। সেই সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন যে স্থায়ী ক্রয় কেন্দ্রে কৃষকরা প্রতি কুইন্টাল ধান ২,২০৩ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ২০ টাকা বোনাস হিসেবে সরকার দেবে। অস্থায়ী শিবিরে ধান কেনা হবে কুইন্টাল পিছু ২১৮৩ টাকায়। এদিন সেইরকমই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে খাদ্য দফতর।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘শাঁখা-পলার মাহাত্ম্য জানেন? ওসব কী জানেন?’, মোদিকে প্রশ্ন ছুঁড়লেন মমতা

মনিপুরে জঙ্গি হামলায় নিহত জওয়ানকে চোখের জলে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন গ্রামবাসীরা

‘বলেছিলাম ২টো আসন ছেড়ে দিচ্ছি, সিপিএমের হাত ধরবেন না, শুনলই না’, আক্ষেপ মমতার

হাসনাবাদে বিস্ফোরণের ঘটনায় সিবিআই অথবা এনএসজি তদন্ত চাইছে বিজেপি পরিবার

রাজ্যপাল নিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ

কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে কমিশনকে নালিশ সুকান্তের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর