নিজস্ব প্রতিনিধি: ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে বারবার মৃত্যু হচ্ছে বাংলার(Bengal) পরিযায়ী শ্রমিকদের(Migrant Workers)। এদের একটা বড় অংশই যাচ্ছেন মালদা(Malda), মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকে। এরা যাতে আর ভিন রাজ্যে কাজে না যান এবং নিজেদের জেলাতে থেকেই যাতে তাঁরা বিকল্প উপার্জনের মুখ দেখতে পারেন তার জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার। সেই সূত্রেই মালদা জেলার ইংরেজবাজারে(English Bazaar) ২টি কার্পেট হাব(Carpet Hub) গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেখানে কার্পেট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত পরিযায়ী শ্রমিকেরা বিকল্প আয়ের মুখ দেখতে পারবেন। নির্ধারিত মজুরির বিনিময়ে বুনন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা যাতে এই রাজ্যেই কাজ পান, তা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন মালদার জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া।
মালদা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার ইংরেজবাজার ব্লকের সাট্টারি ও উত্তর রামচন্দ্রপুর এলাকায় এই ২টি কার্পেট হাব তৈরি করা হচ্ছে। দ্রুত কারখানা দু’টি তৈরির কাজ শেষ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা শিল্প কেন্দ্রকে। ইতিমধ্যেই ওই দু’টি কারখানা পরিদর্শন করেছেন মালদহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরক্ষা ও তাঁদের বিকল্প আয়ের বন্দোবস্ত করার লক্ষ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মালদায় অনেক পরিযায়ী শ্রমিক কার্পেট তৈরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। পাশের দুই প্রতিবেশী জেলা মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর জেলারও অনেক শ্রমিক এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু তাঁদের ভিন রাজ্যে কাজ করতে যেতে হয়। এবার তাঁরা যাতে নিজ জেলা বা পড়শি জেলাতেই সরকারি উদ্যোগে নির্মিত এই কার্পেট হাবে নিজেদের জীবিকা নির্বাহের সুযোগ পান, তার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মালদা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন প্রায় ৩০০ জন শ্রমিক এই কার্পেট হাবে কাজের সুযোগ পাবেন। এই কার্পেট হাবে যে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিকল্প উপার্জনের ব্যবস্থা হবে তাই নয়, ৩টি জেলার অর্থনীতিও এই কারখানায় উৎপাদিত কার্পেট থেকে যথেষ্ট উপকৃত হবে। মালদা, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর জেলার একটি বড় অংশের মানুষ কার্পেট শিল্পে যুক্ত রয়েছেন। কাজের সন্ধানে তাঁদের অনেকেই ভিনরাজ্যের কার্পেট কারখানাগুলিতে চলে যান। সেখানে দুর্ঘটনায় প্রাণও হারিয়েছেন এই ৩ জেলার বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক।এবার সেই ছবিটা কিছুটা হলেও বদলাতে চলেছে।