এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রূপান্তরকামীদের পাশে মমতার সরকার, আসছে চাকরির বিল

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) রূপান্তরকামী(Transgenders) সম্প্রদায়ের পাশে থাকার বার্তা আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। এবার শুধু পাশে থাকাই নয়, রূপান্তরকামীরা যাতে রাজ্যের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সাধারন পদের জন্য পরীক্ষাতেও বসতে পারে তার জন্য খুব শীঘ্রই রাজ্য বিধানসভায়(State Assembly) বিল(Bill) আনছে মমতার সরকার। এর উপকার পাবেন রূপান্তরকামীদের পাশপাশি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরাও অর্থাৎ বৃহন্নলারাও। সব থেকে বড় কথা একই দিনে দুটি সুখবর পেল বাংলার রামধনু পরিবারের মানুষেরা। প্রথমত, সমপ্রেম ও সমলিঙ্গের বিয়ে আইনি স্বীকৃতি পাবে কিনা তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া মামলা শুনতে রাজি হয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি এবং দ্বিতীয়ত, বাংলায় রাজ্য সরকার সরকারি চাকরিরর ক্ষেত্রে রূপান্তরকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য দরজাটা আরও চওড়া করে খুলে দিচ্ছে।

আরও পড়ুন সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টে, আশাবাদী রামধনু পরিবার

এরদিন সরকারি চাকরির জন্য পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে রূপান্তরকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা কিছুটা হলেও অসুবিধার মধ্যে পড়তেন। চাকরির পরীক্ষায় ফর্ম ফিলাপের ক্ষেত্রে তাঁদের এক তো লিঙ্গের ক্ষেত্রে পুরুষ অথবা নারী হিসাবে চিহ্নিত হতেন, যা তাঁরা একদম চাইতেন না। তারওপর বহুক্ষেত্রে তাঁদের ফর্ম বাতিলও করে দেওয়া হত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের ওবিসি ক্যাটাগরি হিসাবেও দেখা হত। এই সমস্যা কাটাতে রূপান্তরকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের তরফে রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছিল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। সেই অনুরোধেই সাড়া দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার রাজ্য বিধানসভায় আনা হচ্ছে বিল। আর সেই বিল পাশ হয়ে রাজ্যপালের সই পেয়ে গেলেই তা আইনে পরিণত হবে। তার জেরে রূপান্তরকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা আর পাঁচজন স্বাভাবিক মানুষ হিসাবেই সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারবেন ও তার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। নিজেদের লিঙ্গগত পরিচয় নিয়ে তাঁদের আর অস্বস্তিতে পড়তে হবে না। মাথা উঁচু রেখেই তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন।

আরও পড়ুন আবারও ডি লিট মমতা, এবার সেন্ট জেভিয়ার্স

উল্লেখ্য, এদিনই সামনে এসেছে দুই যুবক সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন এই আর্জি জানিয়ে যে তাঁদের বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হোক। সুপ্রিয় চক্রবর্তী আর অভয় ঢ্যাং নামের এই দুই যুবক গত ১০ বছর ধরে হয়দরাবাদে লিভ ইন করছেন। এক ছাদের নীচে থেকেও তাঁরা বিয়ে করতে পারছিলেন না শুধু এই জন্য যে, দেশে সমলিঙ্গের বিয়েকে এখনই আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি বলে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টই সমপ্রেম ও সমকামিতাকে অপরাধের তকমা থেকে মুক্তি দিয়েছে। ৩৭৭ ধারা এখনও দেশের সংবিধানে রয়ে গিয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সমপ্রেম ও সমকামিতাকে এই আইনের ধারা থেকে বাদ দিয়েছে। তাই সুপ্রিয় ও অভয়ের প্রশ্ন, যদি সমকামিতা ও সমপ্রেম অপরাধ না হয় তাহলে তাঁদের বিয়ে কেন আইনি স্বীকৃতি পাবে না। বস্তুত এই আবেদনে সাড়া দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। শুধু সাড়া দেওয়াই নয়, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় কেন্দ্র সরকারকে নোটিস পাঠাবারও নির্দেশ দিয়েছেন এই বিষয়ে তাঁদের মতামত জানাবার জন্য। সেই মতামতও ৪ সপ্তাহের মধ্যে জানাতে বলে দিয়েছেন তিনি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপি নেতাদের জবাব দিতে হবে’, সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক  অভিষেক

দাদাগিরি! মেজাজ হারিয়ে মহকুমা শাসককে ধাক্কা রাহুল সিনহার

‘সন্দেশখালির ঘটনা পুরোটাই বানান’, বিজেপিকে তোপ অভিষেকের

বঙ্গে তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটে ঘনিয়ে আসছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সর্তকতা জারি

শান্তনুকে হারাতে মতুয়াদের ওপরেই আস্থা সুমিতার

দাবদাহের মধ্যে ফসল বাঁচানোর অক্লান্ত প্রচেষ্টা মাঠ ঘাটের চাষীদের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর