এই মুহূর্তে

সরকারি জমিতেও গড়া যাবে বেসরকারি শিল্পকারখানা, সিদ্ধান্ত রাজ্যের

নিজস্ব প্রতিনিধি: পাখির চোখে শিল্পোন্নয়ন(Industrialization)। নজরে কর্মসংস্থান(Employment) বৃদ্ধি। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) রাজ্যে শিল্পগত ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও কারখানা গড়ার পথে যত বাধা আছে তার সবকিছুই একে একে সরিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি শিল্প-কারখানা গড়ার ক্ষেত্রে যাতে জমি কোনও ভাবেই সমস্যা হয়ে না দাঁড়ায় তার জন্য ধীর পদক্ষেপে সরকারি ভাবে নীতিগত ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনছেন। প্রয়োজনে আইনেও বদল আনছে তাঁর সরকার। এবার সেই মমতার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলায় জেলায় অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা সরকারি জমিতেও বেসরকারি শিল্প বা কারখানা খোলার ছাড়পত্র দেওয়া হবে। আর সেই কারণে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় সেই সব জমির সন্ধানও শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমের আধিকারিকেরা। তাঁরা প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের(DM) কাছে সেই সব জমি সংক্রান্ত তথ্য চেয়েও পাঠিয়েছেন।

আরও পড়ুন রাজ্যের ৬১৪টি মাদ্রাসায় ১৭২৯টি পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি

বেসরকারি উদ্যোগে শিল্পতালুক গড়তে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই Scheme for Approved Industrial Park বা SAIP এনেছে। ২০১৪ সালে চালু হওয়া এই প্রকল্পে যদি কারও কাছে ২০ একর বা তার বেশি জমি থাকে, তাহলে বেসরকারি উদ্যোগে সেখানে শিল্প পরিকাঠামো গড়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এক বা একাধিক আগ্রহী শিল্প সংস্থা সেখানে শিল্প গড়তে পারে। ২০২০ সালে সেই জমির ন্যূনতম সীমা ২০ থেকে ৫ একরে নামিয়ে আনা হয়। এক্ষেত্রে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সাবস্টেশন গড়ে দেওয়া, জমির স্ট্যাম্প ডিউটিতে ১০০ শতাংশ ছাড় বা বড় রাস্তা থেকে শিল্পতালুক পর্যন্ত বিনা পয়সায় রাস্তা তৈরির মতো সুবিধাগুলি দেওয়ার পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার(West Bengal State Government)। এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৫০টি আবেদন এসেছে বলে রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি প্রকল্পকে ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আরও ২০টি প্রকল্পের নীতিগত ছাড়পত্র মিলেছে। বাকিগুলির কাজ চলছে।

আরও পড়ুন অমিত শাহের মন্ত্রকের অধীন বিএসএফের মদতেই গরুপাচার, বিস্ফোরক দাবি ইডি’র

এরইপাশাপাশি জেলায় জেলায় অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা সরকারি জমিগুলিও চিহ্নিত করার কাজ চলছে। ওই সব জমিতে শিল্পের উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা এবং সেখানে শিল্পতালুক তৈরি করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় এমন ৪০ থেকে ৪৫টি জমি চিহ্নিত করা গিয়েছে। যে জমিগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলির প্রতিটিতে গড়ে ৫ থেকে ৮ একর জমি আছে। সেই জমিগুলি ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমকে হস্তান্তর করা হবে। ওই জমিগুলিতে যাতে বেসরকারি উদ্যোগে শিল্প পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়, তার জন্য আহ্বান জানাবে নিগম। তাদের পোর্টালে শীঘ্রই এই সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে। রাজ্য সরকার SAIP প্রকল্পে যে ধরনের সুবিধা দিচ্ছে, একই সুবিধা দেওয়া হবে জেলায় প্রস্তাবিত সরকারি জমির ক্ষেত্রেও।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সন্দেশখালিতে ফের রাজনৈতিক পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ,সংঘর্ষ

হার নিশ্চিত দেখেই দিল্লিতে ছুট বিজেপি প্রার্থী বিস্তার

ইডি-সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে কমিশনের কাছে নালিশ তৃণমূলের

কাঁচড়াপাড়ার মুকুলের বাড়িতে আশীর্বাদ নিতে গেলেন অর্জুন সিং

‘অমৃতা রায়কে দেখলে বোঝা যায় মেকলের উদ্ধৃতি কত দামী’, দাবি ব্রাত্যের

‘একসঙ্গে জ্বালাবে’ লিখে আত্মঘাতী দম্পতি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর