এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মমতার ‘মাটির সৃষ্টি’ চাষিদের একফসলি জমিকে করবে দোফসলি

নিজস্ব প্রতিনিধি: সিঙ্গুর(Singur) ও নন্দীগ্রামের(Nandigram) জমি আন্দোলন বাংলার অগ্নিকন্যাকে পৌঁছে দিয়েছিল মহাকরণের মসনদে। ৩৪ বছরের বাম অপশাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মা-মাটি-মানুষের সরকার। ২০১১ সালের সেই সময় থেকেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন বাংলার কৃষকদের আয় বৃদ্ধির পাশপাশি রাজ্যের সামাজিক আঙ্গিনায় চাকরি ও কাজের সুযোগ বাড়াতে। সেই কৃষকদের আয় বাড়াতে এবারে মমতার সরকার বৈপ্লবিক এক পদক্ষেপ নিচ্ছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘মাটির সৃষ্টি’(Matir Srishti) প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের কৃষকদের(Farmers) নিজস্ব একফসলি জমিকে দোফসলিতে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত রাজ্যের কৃষকদের তাঁদের নিজস্ব জমি থেকে আয় বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের ছ’টি জেলাকে গুরুত্ব দিয়ে ২০২০ সালে চালু হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘মাটির সৃষ্টি’। সেই প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন দফতরের সমন্বয় ঘটিয়ে বহু জমিকে নতুন করে চাষযোগ্য করে তোলা হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে একফসলি জমি হয়ে উঠেছে দোফসলি। তবে এত দিন এই প্রকল্প রূপায়িত হয়েছে শুধু মাত্র সরকারি বা কোনও গোষ্ঠীর জমিতে। কিন্তু এখন মমতার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পে এবার থেকে শুধু সরকারি বা কোনও গোষ্ঠীর জমি উন্নত করা হবে তাই নয়, ব্যক্তিগত মালিকানার একফসলি জমিকে দোফসলি করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করতে ইতিমধ্যে রাজ্যের ১৪১টি জায়গায় মোট ১০,৪১৭ একর রায়তি জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। মাপজোকের কাজও শেষ। বীরভুম, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এই সব জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সমস্ত জমি দোফসলি করে তুলে রবি শস্যের উৎপাদন এলাকা ৫৩৪ হেক্টর থেকে বাড়িয়ে ১,৮৭৩ হেক্টর করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেচ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে সর্ষে, সব্জি, তৈলবীজের চাষ বাড়ানো হবে। এর জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের ক্ষুদ্র সেচ, কৃষি, উদ্যানপালন, মৎস্য ও পঞ্চায়েত দফতর একযোগে কাজ করা শুরু করে দিয়েছে।

এছাড়াও, রাজ্যে উদ্যানপালন ক্ষেত্রে উৎপাদন এলাকা ১৪৫ হেক্টর থেকে বাড়িয়ে ৯৬২ হেক্টর করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। সেখানে উৎপাদিত হবে কুমড়ো, বেগুন, আম, মুসাম্বি এবং পেয়ারার মতো নানা ফসল। পাশাপাশি এসব এলাকার চাষিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে এক লক্ষ হাঁস, মুরগি, ছাগল ও অন্যান্য গবাদি পশু। খরিফ মরশুমে পেঁয়াজ এবং মৎস্য চাষের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া চাষের কাজের জন্য মোট ১,৩৫৫টি ছোট-বড় মেশিন কৃষকদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি চাষিদের উৎপাদিত শস্য যাতে সঠিক মূল্যে বিক্রি হয় তার ব্যাবস্থাও করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এর জন্য সমস্ত জেলার শহরাঞ্চলে কৃষি বিপণন দফতরের সুফল বাংলার দোকানও বাড়ানো হচ্ছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দাদা ইউসুফের নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ভাই ইরফান

সন্দেশখালিকাণ্ডে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল

‘পরিসংখ্যানের লড়াই হোক, শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন’, মোদিকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

সন্দেশখালিকাণ্ডে রেখা পাত্রের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের

‘সন্দেশখালির বেলুন আলপিন ফুটেছে, চক্রান্ত এখন জনসমক্ষে’, বিজেপিকে নিশানা অভিষেকের

প্রচারের শেষলগ্নে চণ্ডীপাঠের মন্ত্র বিকৃত করার অভিযোগে বিদ্ধ অসীম

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর