নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কীভাবে ভালো ফল ধরে রাখা যাবে? কীভাবে বিজেপি সিপিএম কংগ্রেসকে আরও জনবিচ্ছিন্ন করে দেওয়া যাবে? সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলের পুনরাবৃত্তি কীভাবে রোখা যাবে, সংখ্যালঘুদের বা কীভাবে ধরে রাখা যাবে? এই সমস্ত বিষয় নিয়ে এখন জোর চর্চা চলছে তৃণমূলের অন্দরে। আর সেই আবহে শুক্রবার কালীঘাটে তৃণমূলের মেগা বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ছাড়াও বৈঠকে থাকবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
তৃণমূল সূত্রের খবর, কালীঘাটে এদিন দুপুরের বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের সমস্ত বিধায়ক, জেলা সভাপতি ও জেলা পরিষদের সভাধিপতিদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে এদিন গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেওয়া হতে পারে জেলার নেতাদের। ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে মাথায় রেখেও এদিন আলোচনা হতে পারে।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি সাগরদিঘি উপনির্বাচনের পরাজয় শাসকদলের কাছে যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ। এই কেন্দ্রের সংখ্যালঘুরা কেন শাসকদলের পাশ থেকে সরে গেল, তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে হতে পারে চুল চেরা বিশ্লেষণ। ইতিমধ্যে সাগরদিঘির নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধানে যে কমিটি গঠন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস, সেই কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে সাগরদিঘিতে হারের অন্যতম কারণ সরকারি পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে না পৌঁছনো, দলের মধ্যে অন্তর্কলহ-সহ প্রার্থীর প্রতি কর্মী সমর্থকদের অসন্তোষ। সব মিলিয়ে এদিনের মেগা বৈঠক শুধু তৃণমূল কংগ্রেসে নয়, রাজ্য রাজনীতির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে।