নিজস্ব প্রতিনিধি: বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ জয়গাঁ থানা থেকে তাঁর হাসিমারার ৪৮ নম্বর এশিয়ান হাইওয়ের নাকা পয়েন্টে আসার কথা ছিল। সে পথে বাইক নিয়ে বেরিয়েও পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁর আর কোনও হদিশ মিলছিল না। রবিবার সকালে দলসিংপাড়ার এক চা বাগান থেকে মিলল তাঁর দেহ ও বাইক। তিনি আলিপুরদুয়ার জেলার ভূটান সীমান্তবর্তী জয়গাঁ থানার এএসআই রতন কর। গত বুধবার তাঁর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরে বৃহস্পতিবার তাঁর স্ত্রী গীতা কর বিষয়টি জয়গাঁ থানায় পুলিশ আধিকারিকদের জানান ও সেদিনই একটি নিখোঁজ ডায়রি করেন। ডিএসপি ট্রাফিকের নেতৃত্বে সেই ঘটনার তদন্তও শুরু হয়। কিন্তু বিগত ৩ দিনে রতনবাবুর কোনও হদিশই মেলেনি। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে জয়গাঁ থেকে ৬ কিলোমিটার দূরের দলসিংপাড়া পর্যন্ত দেখা গিয়েছে যে, আপন খেয়ালে বাইক নিয়ে রতনবাবু হাসিমারার দিকে এগিয়ে চলেছেন। এদিন সেই দলসিংপাড়ার একটি চা বাগানের নালা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে।
৫২ বছর বয়সি রতনবাবু পরিবার নিয়ে জয়গাঁ থানার পুলিশ কোয়ার্টারেই থাকতেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি কোচবিহার জেলার দিনহাটা শহরে। শ্বশুরবাড়ি কোচবিহার শহরে। তাঁর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরে এই দুই জায়গাতেও খোঁজ করেছিল পুলিশ। কিন্তু তাঁর কোনও হদিশই মেলেনি। এদিন তাঁর দেহ মেলার পরে মনে করা হচ্ছে তাঁকে খুন করা হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে বালি মাফিয়ারা তাঁকে খুন করেছে। যদিও পুলিশ জোর গলায় এই ঘটনার পিছনে ঠিক কারা জড়িত থাকতে পারেন তা নিয়ে কিছু জানায়নি। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই রতনবাবুর মোবাইলও সুইচড অফ হয়ে গিয়েছিল। সেই মোবাইলের সন্ধান এখনও মেলেনি। পুলিশ জানিয়েছে, রতনবাবু খুন হয়েছেন কিনা তা বোঝা যাবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে আসার পরে। সেই রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত পুলিশ নিশ্চিতভাবে কিছু বলবে না।