এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাংলার ৪০ হাজার কৃষক পাচ্ছে না PM Kisan Yojna’র টাকা

নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা নিতে হলে যথাযথ ভাবে মানতে হবে নিয়ম। নাহলে সুবিধা পাওয়া যাবে না। কিন্তু নিয়ম মানতে গিয়ে যদি কালঘাম ছোটে তাহলে কী কেউ সুবিধা নিতে চাইবেন? কার্যত সেটাই দেখা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের(North Bengal) দক্ষিণ দিনাজপুর(Dakshin Dinajpur) জেলায়, যা আবার বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের(Sukanta Majumdar) নিজের জেলাও। তার ওপর তিনিই আবার জেলার একমাত্র বিজেপি সাংসদ। সেখানেই কিনা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পেতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে জেলার প্রায় ৪০ হাজার কৃষকের। কেননা তাঁরা PM Kisan Yojna’র টাকা পাচ্ছেন না। কী করলে প্রকল্পের সুবিধা মিলবে তা জানতে অনেকেই হন্যে হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে শুরু করেছেন। এই ভোগান্তিতে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভও ছড়িয়েছে। শেষমেষ জেলা কৃষি দফতরের তরফে পদক্ষেপ করা হয়েছে, দ্রুত তাঁদের সুবিধা পাইয়ে দিতে।

আরও পড়ুন RSS কর্মী রাস্তায় ল্যাম্পপোস্ট চাইলেন অভিষেকের কাছে

জানা গিয়েছে, কৃষি প্রধান দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রায় দেড় লক্ষ কৃষক রয়েছেন PM Kisan Yojna’র আওতায়। তাঁদের মধ্যে ৪০ হাজার কৃষক এই প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের বছরে ২ হাজার টাকা করে ৩ কিস্তিতে মোট ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকা পাওয়ার জন্য উপভোক্তাদের এমন কিছু নিয়ম মানতে হচ্ছে যে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে। সেই সব নিয়মের মধ্যে প্রথমেই আছে আধার কার্ডের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক সম্পর্কিত বিষয়ট। কেন্দ্রের নিয়মে বলা আছে আধার কার্ডের সঙ্গে যে ফোন নম্বর লিঙ্ক করা আছে সেই ফোন নম্বরই ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করাতে হবে। এই জায়গায় দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ কৃষকেরই নম্বর আলাদা আলাদা। সেই সব পরিবর্তন করতে কালঘাম ছুটছে তাঁদের। পকেট থেকে ঝরে বাড়তি টাকা। এই সমস্যার সমাধান করে তাঁদের আবার ছুটতে হচ্ছে বাঙ্কে। কেননা সেখানে আবার ডিবিটি সক্রিয় করতে হচ্ছে। অনেকে ব্যাঙ্কে গিয়ে ডিবিটি সক্রিয় করতে গেলে কর্তৃপক্ষ নানা অজুহাতে ঘুরিয়ে দিচ্ছে। এর পাশাপাশি জমির পর্চার কাগজ পোর্টালে আপলোড করতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কৃষকের ই-কেওয়াইসি পিএম কিষান পোর্টালে সম্পন্ন করতে হচ্ছে। এই সমস্ত যাবতীয় নিয়ম মানলে তবেই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে বলে কৃষিদফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। আর এই সমস্ত একগুচ্ছ নিয়ম মানতে কৃষকদের কালঘাম ছুটে যাচ্ছে। কার্যত তাঁরা তিতিবিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রীর পাড়াতেই আবারও চালু হচ্ছে ‘জনতার দরবার’

ক্ষুব্ধ কৃষকেরা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা সময় মতো তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। কোনও ঝামেলা হয় না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার পিএম কিষান যোজনার ক্ষেত্রে একগুচ্ছ নিয়ম করেছে। সেগুলি মানতে ছোটাছুটি করতে হচ্ছে। তাও হবে কিনা তা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। তার জেরে দেখা যাচ্ছে অনেকেই এই প্রকল্পের আওতায় থাকতে চাইছেন না। ফলে প্রকল্পটির সফলতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়ে গিয়েছে। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

২ বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে উল্টে গেল টোটো, নিহত ৩ যুবক, আহত ২ যাত্রী

ভোটের আগেই ভিন্ন চিত্র , বিজেপি কর্মীর বাড়িতে  মধ্যাহ্নভোজন সারলেন তৃণমূল বিধায়ক

উজ্জলা যোজনা প্রকল্পের গ্রাহকদের ঘিরে সংশয়ে বিজেপি নেতৃত্বই

 বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, নির্বাচনের আগে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ  

চাকরি খোয়ানো ঋণগ্রহীতাদের বাড়ি বাড়ি নোটিস যাবে

টাকা-পয়সা নিয়ে বিবাদ, ভাইয়ের হাতে খুন দাদা,গ্রেফতার অভিযুক্ত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর