নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) আগেই ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের সমস্ত মৎস্যজীবীকে(Fishermen) পরিচয় পত্র দেওয়া হবে। তাতে আগামী দিনে নানান ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন তাঁরা। পঞ্চম দুয়ারে সরকারের(Duyare Sarkar) সময় রাজ্যজুড়ে তার জন্য আবেদন নেওয়া হয়েছিল। নথিভুক্ত করা হয়েছিল মৎস্যজীবীদের নাম। এবার সেই সব পরিচয়পত্র বণ্টন শুরু হতে চলেছে। সব মিলিয়ে সাড়ে ৬ লক্ষেরও বেশি Fisherman Identity Card বিতরণ করা হবে। কার্ডের মালিকের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য যাতে দ্রুত জানার যায় তার জন্য ওই সব কার্ডে থাকছে Quick Response Code বা QR Code। ফলে কার্ডে ছাপানো অক্ষর অস্পষ্ট হয়ে গেলেও কোড থাকার কারণে সেটি স্ক্যান করলে সংশ্লিষ্ট মৎস্যজীবীর সমস্ত তথ্য জানা যাবে।
আরও পড়ুন মার্চ মাসে দেশে বেকারত্বের হার ৭.৮, বাংলায় মাত্র ৪.৮
রাজ্যজুড়ে এখন চলছে ষষ্ঠ দুয়ারে সরকার কর্মসূচী। ১ তারিখ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত সেখানে আবেদন গ্রহণের কাজ চলবে। ১১ তারিখ থেকে ২০ তারিখ অবধি পরিষেবা প্রদান করা হবে। এই ১১ তারিখ থেকে পরিষেবা প্রদানের যে কাজ শুরু হবে তখনই নথিভুক্ত মৎস্যজীবীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে QR Code যুক্ত Fisherman Identity Card। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মাছ উৎপাদনে শীর্ষে থাকলেও, সর্বাধিক নথিভুক্ত মৎস্যজীবী রয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। এই জেলায় পরিচয়পত্র পাবেন ২ লক্ষ ২৬ হাজারেরও বেশি মৎস্যজীবী। পূর্ব মেদিনীপুরে এই সংখ্যা ২ লক্ষ ৪ হাজারের কিছু বেশি।
আরও পড়ুন শিশুদের প্রতিবন্ধকতার সার্টিফিকেট পাওয়ার পদ্ধতি সহজ করছে রাজ্য
এতদিন বাংলার মৎস্যজীবীদের ক্ষেত্রে এমন কোনও ব্যবস্থা ছিল না যা দিয়ে তাঁর সঠিক পরিচয় জানা যাবে। এবার তা হওয়ায় ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে সুবিধা হবে। নাম নথিভুক্ত থাকার মানে, কোনও দুর্ঘটনা কিংবা সমস্যা হলে, সংশ্লিষ্ট মৎস্যজীবীর ব্যাপারে সব তথ্য এক জায়গায় থাকবে। ফলে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তাঁরা নিতে পারবেন। তবে যে সব মৎস্যজীবী ইতিমধ্যেই এই কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন অথচ কার্ড হাতে পাননি, তাঁদের নতুন করে আবেদন করতে হবে না বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। তা করলে আবেদন বাতিল হয়ে যেতে পারে।