নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারত(India) বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম(Wheat) উৎপাদক দেশ। তবে তাপপ্রবাহের কারণে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে গমের উৎপাদন প্রায় সাড়ে চার শতাংশ কমেছে। এর জেরে গম রফতানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্র সরকার। আর সেই নিষেধাজ্ঞার জেরেই বাংলার মালদা জেলার সদর মদর মহকুমার মহদীপুরে(Mahadipur) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আটকে পড়েছে গম বোঝাই কয়েক হাজার লরি। কয়েকশো লরি আটকে আছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট সদর মহকুমার হিলি(Hilli) সীমান্তেও। আর তার জেরে গম নষ্টের পাশাপাশি প্রভূত ক্ষতির আশঙ্কাও করছেন ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থায় কার্যত মাথায় হাত পড়েছে গম রফতানিকারকদের।
মালদা জেলার ইংরেজবাজার সদর মহকুমার মহদীপুর সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ পণ্যবাহী লরি রফতানির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে(Bangladesh) ঢোকে। কিন্তু গত ১২ মে গম রফতানিতে কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞার জেরে হাজার হাজার গম বোঝাই লরি আটকে পড়েছে এই সীমান্তে। এ বিষয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সপোর্টার কো-অডিনেটর কমিটির রাজ্য সম্পাদক উজ্জল সাহা জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার জেরে ল্যান্ড পোর্ট, সি পোর্ট, রেল পোর্ট এবং এয়ারপোর্টে লাখ লাখ টন গম আটকে রয়েছে। ফলে রফতানিকারকরা ক্ষতির মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি লিখিত আকারে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে জানানো হয়েছে। বিভিন্ন বন্দরে আটকে থাকা গম গুলি যাতে বাংলাদেশে রফতানি করা হয় সে বিষয়ে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রীকে। কিন্তু এখনও সমস্যার সমাধান কিছু হয়নি। এভাবে গম এখানে পড়ে থাকলে পচে নষ্ট হয়ে যাবে। তখন ক্ষতিপূরণ কে দেবে!’
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, যেসব রফতানি চালানের ক্রেডিট লেটার ১২ মে’র বিজ্ঞপ্তির আগে ইস্যু করা হয়েছে, শুধু সেগুলোর চালান দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। এর বাইরে কোনও দেশ যদি তাদের অনুরোধ পাঠায়, তবে সেদেশে গম রফতানিতে অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু মহদীপুর ও হিলি সীমান্তে গম বোঝাই লরি নির্বিঘ্নে বাংলাদেশে যাতে প্রবেশ করতে পারে তার জন্য বাংলাদেশ সরকারও এখনও ভারত সরকারকে সেভাবে কোনও বার্তা দেয়নি। ফলে মহদীপুর ও হিলি সীমান্তে যে সব গম বোঝাই লরি আটকে রয়েছে তারা ঠিক কবে বাংলাদেশে ঢোকার ছাড়পত্র পাবে তা নিয়ে প্রশ্ন ঝুলেই থাকছে।