নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতসকালে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার শহরের কদমতলা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘিরে জোর শোরগোল পড়ে গেল মঙ্গলবার। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কদমতলার একটি পাঁচতলা বাড়িতে একটি প্ল্যাটে সেই আগুন লাগে। তার জেরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন মা সুপ্রিয়া সরকার(৫১) ও তাঁর ছেলে সুজয় সরকার(৩২)। এদিন সকালে প্রাতঃভ্রমণকারীরা প্রথমে আগুন দেখতে পান। আবাসনের পাঁচতলা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেই তাঁরা চিৎকার করেন। আবাসনের অনেকেই সেই সময় ঘুমোচ্ছিলেন। প্রাতঃভ্রমণকারীদের চিৎকারে ঘুম ভাঙে। সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে আসেন। খবর দেওয়া হয় দমকলেও। দ্রুত সেখানে দমকলের দুটি ইঞ্জিনও চলে আসে। আগুন নিভিয়ে ওই ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে যখন দমকলকর্মীরা ঘরে ঢোকেন ততক্ষনে মারা গিয়েছেন দুইজনে।
জানা গিয়েছে, সুরজিৎ পুণাতে একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করে। তাঁর বাবা মারা যাওয়ার পরে মাকে নিয়ে পুণাতেই চলে যায় সে। চার-পাঁচদিন আগে তাঁরা কোচবিহারে এসেছিলেন। নিজেদের ফ্ল্যাটেই উঠেছিলেন তাঁরা। আর সেই ফ্ল্যাটেই এদিন সাতসকালে লাগল আগুন। পুলিশের প্রাথমিক ভাবে অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। তবে দেহদুটির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে তবেই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হতে পারবেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য জানিয়েছেন, সুরজিতদের ফেরার পরে এক অচেনা ব্যক্তিকে বার ২-৩ তাঁদের ফ্ল্যাটে আসতে দেখা গিয়েছে। যদিও তিনি কে তা জানা যায়নি। আর এখানেই দানা বাঁধছে রহস্য। এদিন পুলিশ যখন ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে তখন দরজার বাইরে গ্রিলের একটি গেট ছিল। সেই গেটে বাইরে থেকে তালা লাগানো হয়েছিল। পুলিশ সেই তালা ভেঙে গ্রিল খুলে তবেই দরজা ভাঙে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে মা ছেলেকে কেউ কী তাহলে খুন করে ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে দরজা আর গ্রিল বন্ধ করে চম্পট দিয়েছে! পুলিশ সব কিছু খতিয়ে দেখছে।