নিজস্ব প্রতিনিধি: তিন দশক, তৃণমূল জমানা কিংবা বামফ্রন্টের সময়ে। কাঁথি পুরসভা মানেই অধিকারীদের আস্তানা। কিন্তু সেই কাঁথি পুরসভায় এবার ব্রাত্য সেই অধিকারীরাই। যা কিছুটা হলেও চমক দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূলে থাকাকালীনও অধিকারী বাড়ির একাধিক নেতাকে বিভিন্ন পদ দেওয়া হয়। তারপরেও কাঁথি পুরসভার দায়িত্বে থাকত শান্তিকুঞ্জের কোনও না কোনও নেতা। বিজেপিতে থেকে সেই নিয়মে বদল ঘটেছে যা খানিকটা আশ্চর্যের বলাই যায়। বিক্ষোভ এড়াতে সোমবার গভীর রাতে ই-মেলের মারফত পুরভোটের প্রার্থী তালিকা পাঠিয়েছে বিজেপি। সেখানেই দেখা গিয়েছে শুভেন্দু-শিশির-দিব্যেন্দু-সৌমেন্দু কাউকেই কাঁথি পুরসভায় প্রার্থী করা হয় নি। উল্টে কাঁথি দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক বনশ্রী মাইতিকে করা হয়েছে পুরভোটের প্রার্থী।
এর পিছনে কারণ হিসেবে দুর্নীতিকেই দেখছে রাজনৈতিক মহল। কারণ কাঁথি পুরসভায় ত্রিপুল চুরি থেকে ত্রিফলা লাগানো নিয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে অধিকারীর বাড়ির দুই পুত্রের। যা নিয়ে মামলাও চলছে আদালতে। তাই অধিকারী বাড়ির কাউকেই আর প্রার্থী করার চিন্তাভাবনা নেয় নি রাজ্য বিজেপি। যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি, তাঁদের দলেই এক ব্যক্তি এক পদ কার্যকর। পরিবারতন্ত্র চলে না। গেরুয়া শিবিরের যুক্তি, সাংসদ শিশির অধিকারীর বয়স হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও বিরোধী দলের নেতা। তাই তাঁকে টিকিট দেওয়া হয় নি। খাতায় কলমে দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূলের সাংসদ, দলবদলও করেন নি। কিন্তু কোন অঙ্কে সৌমেন্দু অধিকারী বাদ? তাঁর পিছনে কোনও যুক্তি দেয় নি বিজেপি। তৃণমূল ছাড়ার পর বিজেপিতে এসেই কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান হন সৌমেন্দু। কিন্তু আসন্ন পুরভোটে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে প্রার্থী তালিকায়, যা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে।