নিজস্ব প্রতিনিধি: বিয়ের আংটি হারিয়ে ফেলেছিলেন গৃহবধূ। আর সেই ‘অপরাধ’-এর ‘শাস্তি’ ‘প্রাণদণ্ড’। এমনটাই অভিযোগ মৃতার বাবার বাড়ির। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। মৃতার পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মৃতার নাম সাথী সিং। ঘটনা কোন্নগরের।
পরিবার সূত্রে খবর, গত ২০১৭ সালে হিন্দমোটর কোতরং শাঁখারি লেনের বাসিন্দা সাথী সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কোন্নগর কানাইপুর বড় বহেরার বাসিন্দা সুরজিৎ চৌধুরীর। অভিযোগ, পণ না দিতে পারার জন্য সাথীর বাবার বাড়ির সদস্যদের নানারকম কুকথা শোনানো হতো। শুধু তাই নয়, মেয়ের ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হতো বলেও অভিযোগ। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে দিতে হয়েছিল মেয়ের জন্য সোনার কানের দুল, জামাইয়ের জন্য সোনার আংটি, খাট ও বিছানা। এর বেশি কিছু দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না সাথীর পরিবারের। তবে শ্বশুরবাড়ির দাবি ছিল, আরও ১ লক্ষ টাকা দিতে হবে।
মৃতার মায়ের অভিযোগ, দু’দিন আগে তাঁকে ফোন করেছিলেন মেয়ে। জানিয়েছিলেন, বিয়েতে দেওয়া সোনার আংটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল সকালেও ফোন করে না কি মেয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁকে মারধর করে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। তারপরেই না কি বিকেলে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়, মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।
উত্তরপাড়া থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রহস্যমৃত্যুর (MYSTERIOUS DEATH) লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে উত্তরপাড়া থানায়। দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরকে। চলছে জেরা।