নিজস্ব প্রতিনিধি,নন্দীগ্রাম: বাড়ি ফেরা হল না নন্দীগ্রামের বর্ণালী দাস বেরার। ওড়িশার জাজপুরে বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তার, কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।ওড়িশার জাজপুরের বারাবাটিতে ১৬নং জাতীয় সড়কের ওপর থাকা ওভার ব্রীজের ওপর থেকে পড়ে যাওয়া অভিশপ্ত বাসের ৭ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৪ জনই পূর্ব মেদিনীপুরের(Purba Medinipur) বাসিন্দা বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে দেহগুলিকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে শববাহী গাড়ি ওড়িশার জাজপুরে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর দ্রুত দেহগুলি পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
নন্দীগ্রাম -২ ব্লকের খোদামবাড়ি দক্ষিণ গ্রামে বাড়ি বর্ণালী দাস বেরার,গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসার জন্যে গিয়েছিলেন ওড়িশার এইমস হসপিটালে।তারপর জগন্নাথ দর্শনে রয়ে গেছিলেন তারা। তারপরে সোমবার বিকাল ৪ টা নাগাদ বাস ধরেন বাড়ি ফেরার জন্যে। সাথে ছিলেন বর্ণালী দেবীর স্বামী। কিন্তু বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বর্ণালী দাস বেরার। শোকের ছায়া নেমেছে নন্দীগ্রামে। পরিবারের সদস্যরা এখন অধীর আগ্রহে বসে রয়েছে কখন মৃতদেহ নন্দীগ্রামে এসে পৌঁছয় তার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী জনসভায় গিয়ে জানিয়েছেন উড়িষ্যায়(Orissa) আহতদের সমস্ত রকম সাহায্য সহযোগিতা করছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে,ওড়িশায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কলকাতাগামী বাস। মৃত ৭, আহত ৩০।
মঙ্গলবার সন্ধ্যেবেলায় পুরী (Puri)থেকে কলকাতার দিকে রওনা দিয়েছিল বাসটি। আনুমানিক বাসে প্রায় ৫০ জন যাত্রী ছিল বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। উড়িষ্যা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত ৩০ জনেরও বেশি।চালক নিয়ন্ত্রণ হারানোর ফলেই এই দুর্ঘটনা বলে জানিয়েছে পুলিশ । ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক(CM Nabin Pattanayak) শোকপ্রকাশ করেছেন এবং ঘোষণা করেছেন ক্ষতিপূরণ। দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে বলে ঘোষণা ওড়িশা সরকারের। ওড়িশা থেকে কলকাতায় ফেরার পথে জাজপুর জেলায় জাতীয় সড়কের উপর একটি ফ্লাইওভার থেকে নীচে পড়ে যায় বাসটি। বাস চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন জয়পুরের চিফ ডিস্ট্রিক্ট মেডিক্যাল অফিসার।