নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদেরও হারানো যায়, সেটা তৃণমূল কংগ্রেসই গোটা দেশকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। যা পারেনি জাতীয় কংগ্রেস। এমনটা দাবি করেই তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে তৃণমূলকেই আসল কংগ্রেস বলে উল্লেখ করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘তৃণমূলই সমুদ্র, কংগ্রেস পচাডোবা এখন অপ্রাসঙ্গিক’।
কংগ্রেসের ব্যর্থতার জন্যই আজ তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম। তা মনে করিয়ে দিয়েই তৃণমূলের বক্তব্য, ‘বাংলায় কংগ্রেস দীর্ঘ সুযোগ পেয়েও সিপিএমকে হারাতে পারেনি বলেই তৃণমূলের জন্ম হয়। কংগ্রেসের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। কিন্তু বামফ্রন্ট বিরোধী লড়াইটাই করতে পারেনি কংগ্রেস। সেই লড়াইয়ের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি তৃণমূল কংগ্রেস। এখন বাংলায় আসল কংগ্রেস তৃণমূলই। কংগ্রেসের অধিকাংশ মানুষও তাই মনে করেন।’ উদাহরণস্বরূপ মালদা জেলার কথা তুলে ধরা হয়েছে সম্পাদকীয়তে। শুধু তাই নয়, কংগ্রেসকে ব্যর্থ, দিশাহীন, এমনকী পচাডোবা বলেও সম্বোধন করা হয়। কারণ হিসাবে তুলে ধরা হয়, ‘তৃণমূলকে হারাতে সিপিএমের সঙ্গে জোট করে বিজেপির সুবিধে করে দেওয়ার চেষ্টা করে কংগ্রেস। দিল্লির ক্ষেত্রেও প্রবণতা এক।’
জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে এও লেখা হয়েছে, ‘আমরা কংগ্রেসকে অসম্মান করি না। কিন্তু ২০১৪, ২০১৯ সালের মতো কংগ্রেস যদি বার বার ব্যর্থ হয় তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস লড়াইয়ের ঝাঁঝ বাড়াবে। দেশের মাটিতে ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, জাতীয়তাবাদী শক্তির পতাকা উঁচু করে রাখার দায়িত্ব থেকে তৃণমূল সরে আসবে না। বাংলায় যদি এখন তৃণমূল আসল কংগ্রেস হতে পারে, আগামীতে সারা দেশেও তা হবে।’ সঙ্গে এমনটাও দাবি করা হয়েছে, ‘এটা কোনও ইগো নয়। কোনও জটিলতা নয়। কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট করার পদক্ষেপও নয়।’ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোটে শুধু থাকাই নয়, নেতৃত্ব দিতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। ‘ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘শক্তিহীন’ হতে থাকা কংগ্রেসকে জোটে রাখলেও, তাদের হাতে নেতৃত্বের ব্যাটন যে তারা ছাড়তে রাজি নয়, তা এদিন ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে স্পষ্ট করে দিল তৃণমূল।