এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

পৌষমেলার মাঠে বৃক্ষরোপণ! শুরু নয়া বিতর্ক

নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও বড়সড় বিতর্ক শুরু হয়ে গেল বিশ্বভারতীকে ঘিরে। যথারীতি এবারেও বিতর্কের কেন্দ্রেবিন্দুতে রয়েছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। অভিযোগ উঠেছে শান্তিনিকেতন তথা বোলপুরের ঐতিহ্যমণ্ডিত পৌষমেলা চিরতরে বন্ধ করে দিতে রীতিমত ফন্দি এঁটে মেলার মাঠে বৃক্ষরোপণ শুরু করিয়েছেন তিনি। নিজে পর্দার আড়ালে থেকে পৌষমেলা যাতে চিরতরে বন্ধ হয়ে যায় তার জন্য সররকমের নোংরামি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ঘটনাচক্রে এই বছরেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষে পা রেখেছে। সেই শতবর্ষকে স্মরণে রাখতেই শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির পৌষ মেলার মাঠ এবং আশ্রম মাঠে শতাধিক গাছ পোঁতার কর্মসূচি নিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আশ্রমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অভিযোগ, গোটা বিষয়টিই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মস্তিষ্কপ্রসূত। তাঁর লক্ষ্যই হচ্ছে যেনতেন ভাবে পৌষমেলা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকে দুটি ভাগে মেলার মাঠ ও আশ্রম মাঠে বৃক্ষরোপণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ ঘিরে এখন নতুন করে বড় বিতর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে। আশ্রমিকদের অভিযোগ, পৌষমেলা বন্ধ করার জন্য পরিকল্পনা করে মাঠ জুড়ে গাছ পুঁতে ফেলা হচ্ছে। য়ার সেই কাজে হাত লাগিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরাও। বিশ্বভারতীর কর্মী পরিষদের উদ্যোগে এদিন পৌষমেলার মাঠে এবং আশ্রম মাঠে পলাশ, কৃষ্ণচূড়া এবং অমলতাস লাগানো হয়। ৫০টি গাছ পৌষমেলা মাঠে এবং ৫০টি আশ্রম মাঠে লাগানো হয়। এদিন এই গাছ লাগানোর অনুষ্ঠানে উপাচার্য ছাড়াও বিশ্বভারতীর কর্মী ও অধ্যাপকরা উপস্থিত ছিলেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, মেলার মাঠ পাঁচিল দিয়ে ঘেরা নিয়ে চলতি বছরের শুরুতে অশান্তির সময় প্রচুর গাছ ভেঙে গিয়েছিল। সেইসব জায়গাতেই এই গাছগুলি লাগানো হয়েছে। মেলার মাঠের মাঝখানে কিছু লাগানো হয়নি।  

তবে আশ্রমিক এবং বোলপুর শহরের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিজেপির কথামতো চলছেন। গেরুয়া শিবিরের নির্দেশেই তিনি এখন উঠে পড়ে লেগেছেন পৌষমেলা চিরতরে বন্ধ করে দিতে। আর এই কারনেই মেলার মাঠের পাশাপাশি আশ্রমের মাঠে গাছ লাগানোর কর্মসূচি তিনি নেওয়া করিয়েছেন বিশ্বভারতীর কর্মী পরিষদকে। সরাসরি বিশ্বভারতীকে তিনি এই কাজে জড়াননি যাতে নিজে বিতর্কে জড়িয়ে না পড়েন। কিন্তু এটা পরিষ্কার যে পৌষমেলা চিরতরে বন্ধ করে দিতেই রীতিমত পরিকল্পনা করে পৌষমেলা মাঠে গাছ পুঁতে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মেলার মাঠে যাতে কেউ ঢুকতে না পারে তার জন্য গেটগুলিতেও তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার পর মাঠে পড়ুয়াদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর এখন তো মাঠ জুড়ে গাছ লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বোলপুর ব্যবসায়ী সমতির পক্ষে সুনীল সিং এবং সুব্রত ভকত জানিয়েছেন, ‘বিশ্বভারতী পৌষমেলার আয়োজন করতে চাইছে না। তাই পরিকল্পনা করে মেলার মাঠে আর আশ্রম মাঠে গাছ লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে এই বছর থেকেই পৌষমেলা করার দাবি জানাচ্ছি।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দাদা ইউসুফের নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ভাই ইরফান

সন্দেশখালিকাণ্ডে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল

‘পরিসংখ্যানের লড়াই হোক, শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন’, মোদিকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

সন্দেশখালিকাণ্ডে রেখা পাত্রের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের

‘সন্দেশখালির বেলুন আলপিন ফুটেছে, চক্রান্ত এখন জনসমক্ষে’, বিজেপিকে নিশানা অভিষেকের

প্রচারের শেষলগ্নে চণ্ডীপাঠের মন্ত্র বিকৃত করার অভিযোগে বিদ্ধ অসীম

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর