এই মুহূর্তে




নদীবাহিত ডলোমাইটে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরবঙ্গের চা বাগান

নিজস্ব প্রতিনিধি: টানা বৃষ্টিতে মারাত্মক অবস্থা উত্তরবঙ্গের। সমস্ত নিমজ্জিত জলে। আলিপুরদুয়ার, ফালাকাটা সহ সমগ্র উত্তরবঙ্গের চিত্রটা একই। ভয়াল রূপ নিয়েছিল উত্তরের বালাসন। জলের তোড়ে ভেঙেছিল ব্রিজ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল যোগাযোগ ব্যবস্থা। নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে পাড় লাগোয়া বহু বাড়ি, আশ্রয়ের খোঁজে ঘর ছেড়েছেন বহু আতঙ্কিত স্থানীয়রা। প্রতিবেশী দেশ ভুটান থেকে আসা জল এবং অতিবৃষ্টিতে নদীর বাঁধ ভেঙে রবিবার আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার ৫০টিরও বেশি চা বাগান ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোনওটি সম্পূর্ণ ডুবে গিয়েছে জলে, কোনওটিতে এখন আর জল নেই, কিন্তু জমে রয়েছে বিস্তর পলি। উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর কার্যত চা শিল্পে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন চা শিল্প। তাই আতঙ্কে কাঁটা হয়ে রয়েছেন মালিক–শ্রমিক উভয়পক্ষই।

সোমবার জলপাইগুড়ির নাগরকাটা ব্লকের বানভাসি এলাকা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথাতেও উঠে এসেছে চা শিল্পে সংকটের বিষয়। তিনি আশ্বাস দেন, বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে সরকার ক্ষতির পরিমাণ যৌথ ভাবে নির্ধারণ করবে, এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘চা বাগানের ক্ষতি মালিক এবং সরকারের যৌথ মূল্যায়নের অধীন। জল নেমে গেলে সম্পূর্ণ ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। সরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে থাকবে।’

জাজল ঢুকেছে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকে তোর্সা নদীর বাঁধ ভেঙেছে। এর পাশেই সুভাষিণী চা বাগান। ফলে সেখানে জল ঢুকেছে হহু হু করে। বর্তমানে বিশাল চা বাগানের অধিকাংশ এলাকায় পলির নীচে। প্রায় ২০০ জন বাসিন্দাকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। চেংমারি বাগানে কমপক্ষে ৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন কর্তৃপক্ষ। শুধু যে চা বাগানেই জল ঢুকেছে তা কিন্তু নয়। জল ঢুকেছে কারখানা। ফলে কোটি কোটি টাকার চা নষ্ট।

কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের মৈনাক হিল চা বাগান মিশে ঘিয়েছে ধরলা নদীর নীচে। আলিপুরদুয়ারে তোর্সা, পানা এবং বাসরা নদী বেশ কয়েকটি বড় চা বাগানের ক্ষতি করেছে। চা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবল বৃষ্টিতে ক্ষগতিগ্রস্ত ভুটান। ফলে সেখান থেকে যে নদীগুলি এসেছে সেগুলি সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে বিপুল পরিমাণে বালি এবং ডলোমাইট। চা বাগান ডালু জমি, তাই জল নামছে। কিন্তু জলের তোড়ে ভেসে আসা বালি, ডলোমাইট চা গাছকে ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্থ করে তুলেছে।

জলপাইগুড়ির চা বাগানগুলির দিকে তাকালেও একই চিত্র দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। হাতিনালা দিয়ে ঢোকা জলে প্লাবিত হয়েছে মোরাঘাট, বানারহাট, গ্যান্দ্রাপাড়া, তেলিপাড়া ও বিন্নাগুড়ি চা বাগান। বাগানের ভিতরে পলি জমেছে। শতাধিক শেড ট্রি ভেঙে পড়েছে। হিলা চা বাগানে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি জলচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত। সব মিলিয়ে চা বাগান মালিকদের মাথায় হাত পড়েছে। আকস্মিক ভাবে এমন ক্ষতিতে হতবাক তাঁরাও। কীভাবে যে এর মোকাবিলা করবেন তা বুঝতে পারছেন না কেউ।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সোনাগাছিতে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার ৪ যৌনকর্মী

শ্বশুরের যৌনাঙ্গ চেপে খুনের অভিযোগ বৌমার বিরুদ্ধে

বদল ও বদলা দুটোই হবে, তৃণমূলকে স্পষ্ট হুংকার দিলেন শান্তনু ঠাকুর

মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ২০৭ কোটি ৯৯ হাজার ৯১৫ টাকার চেক তুলে দিলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস

সামনেই দীপাবলি, নাওয়া খাওয়া ভুলে মাটির প্রদীপ তৈরিতে তোড়জোড় মৃৎ শিল্পীদের

শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি চলবে, আগামী সপ্তাহ থেকে বঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়া

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ