এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

একা নয় অঙ্কিতা, এবার নজরে পরেশপুত্র হীরকের ডাক্তারির ডিগ্রিও

নিজস্ব প্রতিনিধি: মেয়ে কম নম্বর পেয়েও পেয়ে গিয়েছিল সরকারি চাকরি। তাও শিক্ষিকা পদে। মঙ্গল দুপুরে সেই চাকরি নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন তুলে সিবিআই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠে গেল ছেলেকে নিয়েও। প্রশ্নের মুখে মাধ্যমিকে ৩-৪ বার ফেল করা ছেলের ডাক্তারি হয়ে ওঠার ঘটনা। এই দুই ছেলেমেয়ে অবশ্য সাধারন কেউ নয়, মেয়ের নাম অঙ্কিতা অধিকারী(Ankita Adhikari) ও ছেলের নাম হীরক জ্যোতি অধিকারী(Hirak Jyoti Adhikari)। এই দুই ছেলেমেয়ের বাবার নাম পরেশ অধিকারী(Paresh Adhikari), যিনি এ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। অঙ্কিতার চাকরি পাওয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট শুধু যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে তাই নয়, মন্ত্রীকেও সিবিআইয়ের লার্যালয়ে গিয়ে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে সিবিআই-কে এই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রয়োজন বুঝলেই যাকে খুশি জিজ্ঞাসা করারও ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। কিন্তু এই এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় হীরকের ডাক্তারির ডিগ্রি নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাওয়ায় পরেশের কীর্তিকল্পাপ নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।  

হীরককে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন বিজেপির(BJP) জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক দধিরাম রায়(Dadhiram Roy)। তিনি রীতিমত টিপ্পনী কেটে প্রশ্ন তুলেছেন পরেছেন ছেলের ডাক্তারি পাশ নিয়ে। বলেছেন, মন্ত্রী পুত্র নাকি কয়েকবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করে ডাক্তার হয়েছেন। সেই পোস্ট এখন ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। পরেশ অধিকারীর ছেলে ডাক্তার হীরক জ্যোতি অধিকারী একজন চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের চ্যাংরাবান্ধা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অস্থায়ী চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। দধিরামের দাবি, হীরক নাকি মাধ্যমিকে কয়েকবার ফেল করেছিলেন। অন্তত নিজ কমেন্টে এমনটাই দাবি করেছেন দধিরাম। মেখলিগঞ্জ রামকৃষ্ণ মঠ শিশু বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন ছাত্র হীরক সম্প্রতি ওই স্কুলের তরফে আয়োজিত ‘আমার স্কুল আমার গর্ব’ নামে একটি অনুষ্ঠানে যান। সেখানে তাঁকে সম্মানিত করা হয়। তাঁকে সম্মান জানিয়ে তাঁর হাতে স্মারক তুলে দেন মঠের অধ্যক্ষ। আর এই জায়গাতেই প্রশ্ন উঠছে, যে ছেলে দুই তিন বার ফেল করে মাধ্যমিকে সে কীভাবে বিদ্যালয়ে কৃতি ছাত্র হয়, আর কীভাবেই বা ডাক্তার হয়!

মেখলিগঞ্জ রামকৃষ্ণ মঠ শিশু বিদ্যাপীঠের সেই অনুষ্ঠানের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। আর সেখানেই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক তথা পরেশ অধিকারীর রাজনৈতিক শিষ্য দধিরাম রায়। দধিরাম রায় তার কমেন্টে লেখেন, ‘তেল একটু কম পড়লো নাকি? নোবেল পুরষ্কার দেওয়ার ব্যাবস্থা করা উচিত। তাঁকে স্মারক দিয়ে ছোটখাটো করা উচিত নয়। তাঁকে নোবেল শান্তি দেওয়া উচিত।’ যেখানে অঙ্কিতার চাকরি নিয়ে বড়সড় দুর্নীতির প্রশ্ন উঠে গিয়েছে সেখানে হীরকের ডাক্তারির ডিগ্রি নিয়েও কার্যত পরোক্ষ ভাবে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপি নেতা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হলে হাতা- খুন্তির লড়াই, হুঁশিয়ারি মমতার

মালদায় পুলিশি অভিযানে উদ্ধার ২৮ কোটির মাদক, ৩২ লাখ টাকা, গ্রেফতার ১

মহিলাদের অপমান করেছে বিজেপি, সন্দেশখালি নিয়ে সুর চড়ালেন অভিষেক

কনে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে শিলিগুড়িতে গাড়ি উল্টে মৃত্যু দু’জনের,আহত অন্তত ২৮

বহরমপুরের কিছু বুথে পুনরায় ভোটের দাবি কংগ্রেসের

বাইরে থেকে ইন্ডিয়া জোটকে সমর্থন, জানালেন মমতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর