নিজস্ব প্রতিনিধি: রীতিমত ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করেই বাংলার(Bengal) বুকে অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে। প্রথমে হাওড়া(Howrah), তারপর মুর্শিদাবাদ(Murshidabad), নদিয়া(Nadia) এবং এখন উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana)। সোমবার সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তি শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমা এলাকায়। এদিন সকালেই বারাসতের কাছেই থাকা কাজিপাড়ায় রেল অবরোধ করা হয়। একেবারে রেললাইনে নেমে অবরোধ-বিক্ষোভ করা হয়। যার জেরে বারাসর-হাসনাবাদ শাখার রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়। সাতসকালেই ট্রেন পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ায় সমস্যায় পড়েন অফিসযাত্রীরা। তবে পুলিশও এবার সতর্ক থাকছে। তার জেরে কাজিপাড়ায় আধঘন্টার মধ্যেই পুলিশ অবরোধ উঠিয়ে দিতে সক্ষম হলেও তার কিছুক্ষণ পরেই অশান্ত হয়ে ওঠে দেগঙ্গা সংলগ্ন এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
আর এই অশান্তির মাঝেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন। তাঁদের দাবি, শুধু বাংলা নয়, দেশজুড়ে অশান্তির ক্ষেত্রে কাজ করছে বহিরাগত উস্কানি। দেশজুড়ে একই কায়দায় দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চলছে। বাংলাদেশের একটি নিষিদ্ধ সংগঠন এবং দক্ষিণ ভারতের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এই কাজে হাত মিলিয়েছে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, দুই সংগঠনকে টাকা জোগাচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ, কানপুর, লখনউ, তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঝাড়খণ্ড—সর্বত্রই রয়েছে বহিরাগত উস্কানি। ধর্মীয় জিগির তুলে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা, দেশের প্রতিটি জায়গায় আন্দোলনের নামে তাণ্ডবের ছবিটা প্রায় এক। গোয়েন্দাদের কথায়, পরিকল্পনা ছাড়া এটা সম্ভব নয়। আরও লক্ষ্যণীয় প্রতিটি ক্ষেত্রে স্থানীয় ইমাম থেকে সংখ্যালঘু সমাজের নেতা, ধর্মীয় নেতা, রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা বার বার বার্তা দিচ্ছেন অশান্তি না ছড়ানোর, আমজনতাকে অসুবিধায় ফেলে দিয়ে অবরোধ বিক্ষোভ না করার, কিন্তু কোথাও সেই সব কথার কোনও রেশই পড়ছে না। প্রতিটি ক্ষেত্রেই পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ধড়পাকড় করেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হচ্ছে।