এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘কৃষকবন্ধু’র বাতিল আবেদনও Review’র সিদ্ধান্ত রাজ্যের

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) কৃষকদের(Farmers) পাশে দাঁড়াতে ও তাঁদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) চালু করেন ‘কৃষকবন্ধু’(Krishak Bandhu) প্রকল্প। বর্তমানে সেই প্রকল্পে রাজ্যে উপভোক্তার সংখ্যা ১ কোটির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। রাজ্যের কৃষিদফতর(Agriculture Department) সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত কৃষকবন্ধু উপভোক্তার সংখ্যা ছিল ৯১ লক্ষ ১৮ হাজার। এবারে ষষ্ঠ দুয়ারে সরকারের(Duyare Sarkar) কর্মসূচীতেও অসংখ্য কৃষক এই প্রকল্পের জন্য আবেদনও জানান। দেখা যাচ্ছে এর জেরে রাজ্যে এখন কৃষকবন্ধু প্রকল্পে উপভোক্তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯৪ লক্ষ। তবে নানান কারণে বাতিল হয়েছে কয়েক হাজার কৃষকের আবেদন। এবার এই বাতিল হওয়া প্রতিটি আবেদনকারির বাড়ি বাড়ি যাবেন রাজ্যের কৃষি দফতরের প্রতিনিধিরা। তাঁদের আবেদন বাতিল হওয়ার নির্দিষ্ট কারণ চিহ্নিত করে, তাঁরা যাতে এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না থাকে তা সুনিশ্চিত করবেন তাঁরা। কার্যত কৃষকদের জন্য আরও একটি মানবিক পদক্ষেপ নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

আরও পড়ুন ৫০০’র বেশি শিক্ষককে কলকাতা থেকে জেলায় বদলির সিদ্ধান্ত

বাংলার এই ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের একর প্রতি ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় প্রতি বছর। দুই দফায় সেই টাকা মেলে। ভাগ চাষিরাও সেই সুবিধা পাচ্ছেন। কৃষকদের দাবি, যে বছর চাষ ভালো হচ্ছে না তখন এই একর প্রতি ১০ হাজার টাকাই বড় ভরসা হচ্ছে। শুধুমাত্র কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য অনেক পরিবার আগে সুষ্ঠুভাবে জমির বণ্টনও করে নিচ্ছে। এতে যেমন কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে তেমনি সম্পত্তিজনিত বিবাদও কমছে। সেই তত্ত্বেই প্রতিদিন বাড়ছে কৃষকবন্ধু উপভোক্তার সংখ্যা। সম্প্রতি দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পেতে লক্ষাধিক আবেদন জমা পড়েছিল। কিন্তু সেখানেও কয়েক হাজার কৃষকের আবেদন বাতিল হয়। কেন তা বাতিল হল সেটাই এখন খতিয়ে দেখতে চাইছেন রাজ্যের কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা। সম্প্রতি এই বিষয়ে রাজ্যের কৃষি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিটি জেলার কৃষি আধিকারিকরা। যেখানে মন্ত্রী বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাতিল পড়ার কারণ অনুসন্ধান করে দ্রুত তা রিপোর্ট আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, যদি সামান্য সাহাজ্যের মাধ্যমে তাঁদের সমস্যার সমাধান করা যায়, তাও দেখে নিতে বলা হয়েছে জেলার আধিকারিকদের।  

আরও পড়ুন বেহালা থেকে পার্থকে হটাতে গিয়ে গলা ধাক্কা খেল বামেরা

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা চাই যাতে একজন কৃষকও তাঁদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত না থাকে। সেই কারণেই পুনর্যাচাই বা Review করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের অভাবে বাতিল হয়েছে আবেদন পত্র। এই সমস্ত ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে প্রান্তিক কৃষকদের সেই সমস্ত কাগজ পত্র পেতেও সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে। আর যারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে একেবারেই অনুপযুক্ত তাঁদের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সন্দেশখালি কাণ্ডের কিনারায় এখন শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীরই মূল ভরসা সিবিআইয়ের?

মালদায় নির্বাচনী প্রচারে খগেন মুর্মুকে গরু – ভেড়ার সঙ্গে তুলনা করলেন ফিরহাদ হাকিম

নাম বিভ্রাটের জেরে নিরাপরাধ গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে আদালতে এনে বাড়ি পৌঁছে দিল পুলিশ

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে কোথাও পুলিশ লাগালো গাছ, কোথাও আবার ডিউটির ফাঁকে করলেন রক্তদান

তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে শান্তিপুরে ব্যাঙের বিয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা

কৃষ্ণনগরের দর্জি তাক লাগিয়ে দিলেন ১৪৪ বর্গফুটের লুডো তৈরি করে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর