নিজস্ব প্রতিনিধি: বাঁকুড়ার পোড়াপাহাড়ের খবর সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। এখানে রয়েছে গুহা (CAVE),যা দীর্ঘ প্রায় ২০০ ফুট। খাতড়া থেকে সাহেব বাঁধ পেরিয়ে গেলে চোখে পড়বে এই পাহাড়। এখানেই আছে ত্রিমূখী গুহা। একদিকে দূরত্ব প্রায় ৫০ ফুট। অন্যদিকে তা দীর্ঘ প্রায় ১৫০ ফুট। উচ্চতা প্রায় সাড়ে ৬-৭ ফুট। রয়েছে ৭টি প্রকোষ্ঠ বা কুঠুরি। একাংশের অনুমান, এখানে আদিম মানুষ বসবাস করতেন। আবার অনেকের অনুমান ব্রিটিশ আমলে এই গুহা থেকে উলফ্রাম খনিজ তোলা হত। উল্লেখ্য, গুহার প্রতিটি কুঠুরির দৈর্ঘ্য পায় ২০ ফুট। আর প্রস্থ ৭-৮ ফুট। প্রাচীন এই গুহা সংস্কারের দাবি উঠেছে। দাবি উঠছে, সংরক্ষণের। একই দাবি, ঝাড়গ্রামের লালজল গুহা (CAVE) ঘিরেও।
বেলপাহাড়ির লালজল এলাকার পাহাড়ে রয়েছে এই গুহা। লালজলের এই গুহা আদিম মানুষের গুহা নামেই পরিচিত। পাহাড়ের ওপরে সেই গুহা। এখান থেকে না কি একসময় উদ্ধার হয়েছিল হাড়, আদিম মানুষের ব্যবহৃত একাধিক দ্রব্য। কথিত আছে, এই গুহাতে বসে ধ্যান করতেন এক সাধু। তিনিই এখানে দুর্গাপুজোর (DURGA PUJA) প্রচলন করেছিলেন। তাঁর নির্দেশ ছিল, এখানে যেন পুজো বন্ধ না হয়। তারপর থেকেই হয় নিত্য পুজো।
এই গুহা থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক হাড়, প্রস্তরায়ুধ, পাথরের বাসন এবং দ্রব্য। অনুমান সেই সমস্ত জিনিস আদিম মানুষেরা ব্যবহার করতেন। স্থানীয়দের মতে, এখানে আছে প্রাচীন এক দুর্গা মূর্তি। একসময় প্রত্নতত্ত্বের একাধিক সূত্র পেয়ে এখানে না কি খননকার্য চালানোর উদ্যোগ নিয়েছিল প্রত্নতাত্ত্বিক দফতর। তবে বিষধর সাপ থাকায় সেই খননকার্য আর এগোয়নি। উল্লেখ্য, প্রস্তরায়ুধ বর্তমানে সংরক্ষিত কলকাতার জাদুঘরে।
পোড়া পাহাড়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই। লালজল এলাকার মানুষের দাবি, এই গুহাও সংস্কার এবং সংরক্ষণ করা হোক।