নিজস্ব প্রতিবেদক: নদীর জল বাড়লেই ভাঙছে কজওয়ে। কারণ পরিকল্পনাহীন ভাবে তৈরি করা হয়েছে কজওয়ে। শুধু তাই নয় তোলা হয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। বাঁকুড়ার দ্বারকেশ্বরের ঘটনা। বারবার ভাঙনের ঘটনায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মনে।
অভিযোগ, নির্মাণ ও সংস্কারে খরচ হয়েছে কোটি টাকার বেশি। তবুও অবস্থার উন্নতি হয়নি। দ্বারকেশ্বর নদের ওপর বাঁকুড়ার ভাদুল ও সুরপানগরের মাঝে রয়েছে এই কজওয়ে। তা নিয়েই বিতর্ক ও অসন্তোষ। জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলার কংসাবতী এবং সেচভুক্তি মণ্ডলের অধীনে নির্মিত হয় এই কজওয়ে। বেশ কিছু বছর আগে ১৫৮. ৮৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছিল এই কজওয়ে। তা ধরে দ্বারকেশ্বর নদ বরাবর করা হয় যাতায়াত। অভিযোগ, খুব সামান্য অংশতেই পাইপ ব্যবহার করে ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। আর বেশিরভাগ অংশে বসেছে শুধুমাত্র উঁচু স্ল্যাব। জানা গিয়েছে, ওন্দা নিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক অরূপ খাঁয়ের উদ্যোগেই তৈরি হয়েছিল এই কজওয়ে। তিনি বলেন, স্থানীয়দের দাবি মেনে এই কজওয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। এখন বিধায়ক বিজেপির অমরনাথ শাখা, তাঁর এই বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।
ভাদুল ও সুরপানগরের মাঝে ঘাট। সেখানেই কজওয়ে। এই রাস্তা ব্যবহার করে খুব সহজেই যাতায়াত করা যায়। কজওয়ে নির্মাণের আগে বহু কষ্ট করে তৈরি করা হত অস্থায়ী সেতু। যাতায়াত ছিল কষ্টসাধ্য। এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাই প্রতি বছর ভেঙে যায় দ্বারকেশ্বর নদের জলের তোড়ে। ফলে, যাতায়াতের জন্য সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করতে হয় বিপজ্জনকভাবে রেল সেতুর রাস্তা। ফলে সুদিনের স্বপ্ন দেখেও কাটাতে হচ্ছে দুর্ভোগের মধ্যে। এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। অভিযোগ, বরাদ্দ টাকার কাজ হয়নি। রয়েছে সংস্কার নিয়েও একগুচ্ছ অভিযোগ। আরও অভিযোগ, পরিকল্পনা ছাড়াই সরকারি টকার অপব্যবহার করা হয়েছে ও হয়। প্রতি বছর সংস্কারের জন্য ব্যাপক খরচ হয় তবু লাভ হয়নি কিছুই। অবস্থা রয়েছে একই, দাবি স্থানীয়দের। অবস্থার দ্রুত সমাধান চাইছে বাসিন্দারা।