নিজস্ব প্রতিনিধি: টিউশান পড়তে বেড়িয়ে গণধর্ষণের শিকার হল বাংলার(Bengal) এক স্কুলছাত্রী(School Student)। প্রেমিক ও তার বন্ধুদের হাতেই নির্যাতনের শিকার হয়েছে সে। ঘটনার জেরে POCSO Act মেনে স্থানীয় থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ(Police) ১জনকে আটকও করেছে। তাকে জেরা করেই এখন বাকিদের সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ। নির্যাতিতা একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী এবং তাঁকে ধর্ষণের জন্য কোনও রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করে অচৈতন্য করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার(Hooghly District) সদর মহকুমার পোলবা-দাদপুর(Polba Dadpur) ব্লকে।
আরও পড়ুন রাজ্যের পরিবহণ দফতরের আয় বাড়ল ৬৮৯ কোটি টাকা
জানা গিয়েছে শনিবার সন্ধ্যায় মেয়েটি বাড়ি থেকে টিউশন পড়তে গিয়েছিল। রাত সাড়ে ৮টা বেজে গেলেও সে বাড়ি না ফেরায় মেয়ের খোঁজ শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। টিউটোরিয়ালের শিক্ষককে ফোন করে ছাত্রীর মা জানতে পারেন ওই দিন যে পড়ানো হবে না, তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। শেষ পর্যন্ত রাত ১টা নাগাদ পোলবা থানায় বিষয়টি জানায় ছাত্রীর পরিবার। কিন্তু রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ নিজেই সাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরে ওই ছাত্রী। বাড়ি ফিরে সে জানায়, শনিবার বাড়ি ফেরার পথে নির্জন জায়গায় তার রাস্তা আটকেছিল বিজন নামে এলাকারই এক যুবক। বিজন তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু ই ছাত্রী তাতে রাজি না হওয়ায় তার নাকে স্প্রে করে স্থানীয় একটি আমবাগানে বিজন তাকে টেনে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সেখানে অচৈতন্য অবস্থায় সে ও তার ৫ বন্ধু মিলে তাকে গণধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন যে যেখানে শক্তিশালী, সেখানে তাকে জমি ছাড়ুন, মমতার তত্ত্বে সায় থারুর
যদিও ওই ছাত্রীর বয়ান ঘিরে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে যা খতিয়ে দেখছেন পুলিশের আধিকারিকেরা। প্রথম প্রশ্ন, টিউটোরিয়ালের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যখন জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল শনিবার পড়ানো হবে না তখন ওই ছাত্রী কেন পড়তে গিয়েছিল। যদি ধরে নেওয়া হয় সে জানতই না, তাহলে সে দ্রুত ফিরে এল না কেন। ছাত্রী জানিয়েছে সে বাড়ি থেক বার হয় বিকাল ৫টা নাগাদ ও পড়ে বাড়ি ফেরার পথ ধরে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ। কিন্তু প্রশ্ন, যদি টিউটোরিয়ালে সেদিন না পড়ানোর ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে ওই ছাত্রী কার কাছে কী পড়তে গিয়েছিল! অনেকেরই ধারনা গণধর্ষণের অভিযোগ সম্ভবত সত্যি না। এমনকি নাকে স্প্রে করে তুলে নিয়ে যাওয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। যে যুবকের নাম সে বলেছে তার সঙ্গে হয়তো সম্পর্ক ছিল নির্যাতিতার। শনি সন্ধ্যায় তারা হয়তো স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিল। পরে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ওই ওবস্থায় ফেলে রেখেই যুবকটি পালিয়ে আসে। যদিও পুলিশ ঘটনার তদন্ত নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি।