নিজস্ব প্রতিনিধি: জমিজমা নিয়ে পাড়াতুতো দাদার সঙ্গে বিবাদের জেরে নাবালিকা ভাইঝিকে নিজের ক্ষোভের শিকার বানিয়েছিল ভাই। ভুল বুঝিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে নাবালিকা ভাইঝিকে ধর্ষণ করে সেই গুণধর যুবক। যদিও বিষয়টি জানাজানি হতে বেশি সময় লাগেনি। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হতে গ্রেফতারও হয় সেই যুবক। তারপর কেটে গিয়েছে ৪টে বছর। অবশেষে বুধবার সেই মামলার রায় দিল আদালত। নাবালিকা ভাইঝিকে ধর্ষণের দায়ে কাকাকে(Uncle) ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। সঙ্গে ১০ হাজার টাকার জরিমানাও। সেই জরিমানা না দিলে আরও অতিরিক্ত ১ বছরের জেলের নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে আদালত। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি(Jalpaiguri) শহরের বুকে।
জানা গিয়েছে, মূল ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালে। নির্যাতিতা সেই সময় নাবালিকা(Minor Girl) ছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যাবেলায় বাবাকে বাজারের ব্যাগ পৌঁছে দিতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল নির্যাতিতা। সেই সময় রাস্তায় তার সঙ্গে দেখা হয় অভিযুক্ত যুবকের। ওই যুবক সেই সময় নাবালিকাকে ভুল বুঝিয়ে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে তার গলায় ছুরি ঠেকিয়ে তাকে প্রাণে মারার ভয় দেখিয়ে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। রাতে কোনওভাবে মেয়েটু বাড়িতে ফিরে গোটা ঘটনার কথা বাড়ির লোকেদের জানায়। তারপরের দিনই জলপাইগুড়ি টাউন থানায় এই মর্মে অভিযোগ দায়ের হয়। তার জেরেই গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত যুবক। তারপর থেকেই মামলা চলছিল যার রায় এদিন পাওয়া গিয়েছে। পক্সো আইনে(POCSO Act) মামলা দায়ের হওয়ায় পক্সো আদালতের বিচারক এদিন রায় দিয়েছেন। এই বিষয়ে সরকারি আইনজীবী দেবাশীষ মিত্র জানিয়েছেন, ‘পক্সো কোর্টের বিচারক অভিযুক্তকে ১০ বছরের জন্য সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেবার নির্দেশ দিয়েছেন। ১০ হাজার টাকা অনাদায়ে তাকে আরও অতিরিক্ত এক বছরের জন্য কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন।’