নিজস্ব প্রতিনিধি: নির্যাতিতা ও তার বন্ধুর বয়ান অনুযায়ী স্কেচ বানানো হয়েছিল। সেই স্কেচ ছাড়া আর কিছুই ছিল না পুলিশের(Police) হাতে অভিযুক্তদের কাছে পৌঁছানোর জন্য। কিন্তু সেই স্কেচই কাজে লেগে গেল। বীরভূম(Birbhum) জেলার শান্তিনিকেতন(Shantiniketan) থানা এলাকায় আদিবাসী নাবালিকার গণধর্ষণ কাণ্ডে পুলিশ ৪জনকে গ্রেফতার(Arrest) করতে সক্ষম হল সোমবার সকালে। এদিনই বীরভূম জেলার পারুই(Parui) থানা এলাকা থেকে এই ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে ২জন আবার নাবালক। তবে ঘটনার মূল আরও ৩ অভিযুক্ত এখনও ফেরার। এদিন যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা মূল অভিযুক্তদের সঙ্গী ছিল বলেই জানা গিয়েছে। এদিনই এই ৪জনকে বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতন এলাকায় এক আদিবাসী নাবালিকা তার এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে চড়কের মেলা দেখতে গিয়েছিল। ফেরার পথে একটি মাঠে বসে গল্প করার সময় জনা চারেক যুবক ছেলেটিকে মারধর করে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে চলে যায়। এরপর কোপাই নদীর ধারে ৫জনে মিলে তাকে গণধর্ষণ করে। ঘটনার পরে নদীর ধারেই মেয়েটিকে ফেলে তারা গা ঢাকা দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারাই মেয়েটিকে উদ্ধার করে। সেই ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমেও সমস্যায় পড়ে অভিযুক্তদের পরিচয় না জানার জেরে। কেননা নির্যাতিতা বা তার পুরুষবন্ধু কেউই অভিযুক্তদের চিনতে পারেনি। শেষে তাদের মুখোমুখি বসিয়ে পুলিশ অভিযুক্তদের স্কেচ আঁকায়। সেই সঙ্গে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে দেখা হয় ঘটনার সময় আশেপাশে ওই এলাকায় কার কারা ছিল। এরপর দেখা যায় যে সব মোবাইল ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিল তার মধ্যে বেশ কিছু মোবাইল পারুই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরপর স্কেচ নিয়ে পুলিশ পারুই থানা এলাকায় যেতেই এদিন সকালে দুই নাবালক সহ মোট ৪জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
জানা গিয়েছে এদিন যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে যে দুই নাবালক রয়েছে তারা ঘটনার দিন অভিযুক্তদের সঙ্গী ছিল। তারা ধর্ষণ না করলেও মেয়েটির শ্লীলতাহানি করেছিল। বাকি দুইজন মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে। সেই সঙ্গে আরও ৩জন যুবক মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে। তারা অবশ্য এখনও ফেরার। তবে পুলিশের অনুমান এই ৪জনকে জেরা করলেই ওই বাকি ৩জনেরও পরচয় জানা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে তাদের গ্রেফতার করাও সম্ভব হবে। মনে করা হচ্ছে তারাও পারুই থানা এলাকারই বাসিন্দা।