নিজস্ব প্রতিনিধি: ১২ ঘন্টার মধ্যে চাঁচলে ঘটে যাওয়া দুঃসাহসিক ডাকাতির কিনারা করল মালদার চাঁচল থানার পুলিশ (Police)। এই ঘটনায় গ্রেফতার ৭ ডাকাত। ধৃতদের চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছিল। ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। চাঁচল থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ডাকাতদলের সদস্যদের।
উল্লেখ্য, গত শনিবার চাঁচল থানার মহানন্দাপুরে ভোর রাতে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে ডাকাত (Robber) দল। ব্যবসায়ী হিমাংশু সাহার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে লুঠপাট চালায় ডাকাত দল। শুধু তাই নয় ওই ব্যবসায়ীর মাথায় বন্দুকের বাঁট দিয়েও আঘাত করা হয়। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাঁচল থানার পুলিশ। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনার ১২ ঘন্টার মধ্যে গোপন সূত্রে অভিযান চালায় চাঁচল থানার পুলিশ। মহানন্দাপুর এলাকা থেকে ৭ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতরা মহিদুল ইসলাম (২৭), মনোয়ার আলী (২৫), বিটন আলী ( ২৬), নূর আলম (২৯), হাসান আলি ( ২০) , তাজেল আলী (৩০), জামিল হোসেন( ৩২)। এদের প্রত্যেকের বাড়ি চাঁচলের মহানন্দপুর এলাকায়। রবিবার ধৃতদের চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই ডাকাত দল এলাকায় ডাকাতির জন্য বোমা মজুত করেছিল। হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর সময় ধৃতরা জেরায় স্বীকার করে সেই কথা। উল্লেখ্য, চাঁচলের রানীপুরে ডাকাত দলের সর্দার মইদুল ইসলামের শ্বশুরবাড়িতে উদ্ধার হয়েছে ২২ টি তাজা বোমা (Bomb)। সেই বোমা গুলিকে নিষ্ক্রিয় করেছে বম্ব স্কোয়াড। ডাকাতির ১২ ঘণ্টার মধ্যে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর ডাকাতি ও বোমা উদ্ধারের কিনারা করল পুলিশ। ২ টি ঘটনাতেই যুক্ত এই দল। তাদের মূল পাণ্ডা মইদুল ইসলাম।