এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

পালাতে গিয়ে ধরা পড়ল রেনুর শ্বশুর-শাশুড়ি, শরিফুল এখনও অধরা

নিজস্ব প্রতিনিধি: ভালবাসার মাশুল যে এভাবে গুণতে হবে সেটা স্বপ্নেও ভাবেননি রেনু খাতুন(Renu Khatun)। এখন দুর্গাপুরের হাসপাতালে বসে খালি ভেবে চলেছেন, কোন কুক্ষণে শরিফুলকে(Shariful) ভালবেসেছিলেন। কেননা সেই শরিফুলই তো তাঁর সরকারি চাকরি কেড়ে নিতে হাতের কব্জি কেটে দিয়েছে। ভালবাসার এমন ভয়ঙ্কর বহিঃপ্রকাশ হবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি রেনু। কিন্তু এখন আর আফশোষ করা ভিন্ন কোনও উপায় নেই। খালি ওপরওয়ালাকে ডেকে চলেছেন, চাকরিটা যেন না যায়। সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমেও রেনু এখন রাজ্য সরকারের কাছে কাতর অনুরোধ জানিয়ে যাচ্ছেন যাতে তাঁর চাকরিটা না যায়। পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdhwan) জেলার কাটোয়া মহবলুমার কেতুগ্রামের(Ketugram) কোজলসা গ্রামের গৃহবধূ রেনু খাতুনের ডান হাত কব্জি থেকে কেটে দিয়েছে তাঁরই স্বামী শের মহম্মদ শেখ ওরফে শরিফুল। সেই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যজুড়েই। সেই ঘটনাতেই মঙ্গলবার সকালে পুলিশ(Police) গ্রেফতার করেছে রেনুর শ্বশুর-শাশুড়িকে। কিন্তু শরিফুল এখনও অধরা। 

রেনু সরকারি চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু সেই চাকরি করলে রেনু আর স্বামীর কাছে থাকবে না। শ্বশুরবাড়িতেও আসবে না। ঘরসংসার ভেসে যাবে। এটাই শরিফুলকে বুঝিয়েছিল তার বন্ধুরা। আর তার জেরেই দুই বন্ধুকে নিয়ে গত শনিবার রাতে রেনুর ডান হাত কব্জি থেকে কেটে দেয় শরিফুল। শুধু তাই নয়, রেনু যাতে কোনওভাবেইও ওই সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে না পারে তার জন্য সে রেনুর যাবতীয় সার্টিফিকেট ও চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ের কাগজপত্রও সঙ্গে নিয়ে ফেরার হয়ে গিয়েছে। এমনকি যাওয়ার আগে রেনুর বাবাকে জানিয়ে দিয়েছে, ‘আমার বউ যা খুশি তাই করতে পারি। শাসন করতেও পারি, প্রাণেও মেরে ফেলতে পারি।’ সেই শরিফুলের সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ। এদিন তাঁরা গ্রেফতার করেছেন শরিফুলের বাবা-মা সিরাজ শেখ ও মেহেরনিকা বিবিকে। মঙ্গলবার ভোরে বাসে চেপে পালানোর ছক কষেছিলেন এই দম্পতি। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কেতুগ্রাম গ্রাম থানার পুলিশ চাকটা বাসস্ট্যাণ্ড থেকে গ্রেফতার করে তাঁদের। শরিফুলের সন্ধান পেতে এখন সিরাজ শেখ আর মেহেরনিকা বিবিকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন তাঁরা।

এদিকে দুর্গাপুরের হাসপাতালে থাকা রেনু সংবাদমাধ্যম মারফৎ রাজ্য সরকারের কাছে কাতর আবেদন জানিয়ে বলেছে, ‘আমার চাকরিটা যেন থাকে। সরকার যেন আমার চাকরিটা বাতিল করে না দেয়। একটা হাত দিয়েই কাজ করব।’ নার্সিং প্যানেলে নাম উঠেছিল রেণু খাতুনের। আগামী দিনেও স্বাস্থ্য বিভাগেই কাজ করতে চান তিনি। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য তাঁর আদতে কোনও দোষ নেই এবং তিনি স্বামীর সন্দেহের শিকার বলেও আক্ষেপ করছেন তিনি। পাশাপাশি স্বামীর কড়া শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন। রেনু এদিন জানিয়েছেন, সরকারি চাকরির প্যানেলে নাম ওঠার পর থেকেই শরিফুল বিরক্ত প্রকাশ করে। চাকরিতে জয়েন করতেও বাধাও দেয়। এটা নিয়ে দুজনের মধ্যে দফায়-দফায় ঝগড়াও হয়। বাধ্য হয়ে দিন কয়েক আগে বাপেরবাড়ি চলে আসেন রেনু। পরে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে শরিফুল তাঁকে বাপেরবাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর শনিবার রাতে দুই বন্ধুর সঙ্গে পরিকল্পনা করেই রেনুর ডান হাতের কব্জি কেটে দেয়। রেনুর দাবি, ‘ওর বন্ধুরা বুঝিয়েছিল, চাকরি পেয়ে আমি ওকে ছেড়ে চলে যাব। তাই পরিকল্পনা করেই আমি ঘুমিয়ে পড়ার পর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে আমার হাতের কব্জি কেটে দেয়।’  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

খাদ্যে বিষক্রিয়া, ডাইরিয়াতে আক্রান্ত মহিলা শিশু সহ ২০০ জন

শ্যামনগরের ওয়েভারলি জুট মিলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ঘটনাস্থলে ৩ টি ইঞ্জিন

নির্বাচনী জনসভায় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে বিস্ফোরক দেবাংশু ভট্টাচার্য

রবিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা

রামনবমীতে অশান্তি, বেলডাঙ্গা ও শক্তিপুরের ওসিকে সাসপেন্ড করল কমিশন

তাপপ্রবাহে বিদ্যুৎ বিভ্রাট রুখতে জরুরি বৈঠকে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর