নিজস্ব প্রতিনিধি: দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার ক্যানিং(Canning) থানার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কচুয়া পিয়ার এলাকায় বৃহস্পতিবার ঘটে গিয়েছে ভয়ঙ্কর খুনের(Murder) ঘটনা। সেখানে গতকাল দুষ্কৃতীদের ঝাতে খুন হয়ে গিয়েছেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য স্বপন মাঝি। একই সঙ্গে খুন হয়েছেন তাঁর সঙ্গে থাকা দলের দুই বুথ সভাপতি ঝন্টু হালদার ও ভূতনাথ প্রামাণিক। সেই খুনের ঘটনায় গতকাল রাতে স্বপনবাবুর পরিবারের তরফে ৬ জনের নামে এফআইআর করা হয়। ইতিমধ্যেই তাদের মধ্যে ৪ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এরা হল জালালউদ্দিন আকন্দ, বসির শেখ, এরাইদুল্লা মণ্ডল ও আলি হোসেন নস্কর। এফআইআরে নাম রয়েছে মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দারের। কিন্তু পুলিশ(Police) এখনও পর্যন্ত রফিকুলকে ধরতে সক্ষম না হলেও এদিন সকালে ২জন মহিলা সহ মোট ৪জনকে আটক করেছে এই খুনের ঘটনায়। তাঁদের মধ্যে রফিকুলের স্ত্রীও আছে। এদের সকলকে ক্যানিং থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার হেরোভাঙা বাজারে ছিল ২১শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা। সেই সভাতেই যোগ দিতে বাইকে করে স্বপনবাবু নিজের বাড়ি থেকে সেখানে যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিল ঝন্টু ও ভূতনাথ। কিন্তু পথেই তাঁদের রাস্তা আটকায় ৪জন দুষ্কৃতী। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, খুনের সময় রফিকুল ঘটনাস্থলে ছিল ও পরে বাইকে করে পালায়। যদিও রফিকুলের পরিবার তা অস্বীকার করেছে। তাঁদের দাবি, বিগত ৫ মাস ধরে রফিকুল গ্রামছাড়া। স্বপনের সঙ্গে বিরোধের জেরেই সে গ্রামে ঢুকতে পারছিল না। তবে রফিকুল এখন কোথায় রয়েছে তা তাদের জানা নেই। গতকাল সন্ধ্যায় অবশ্য স্বপনবাবুর অনুগামীরা রফিকুলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। বাড়ির আসবাবপত্র তাঁরা বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দেয়। এদিন সকালেও সেই সব আসবাব সেখানে ভাসতে দেখা গিয়েছে। এদিন সকালেই তিন তৃণমূল কর্মীর দেহ ময়নাতদন্তের পর গ্রামে নিয়ে আসা হয়। কার্যত গোটা গ্রাম এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ। এলাকায় রীতিমত শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মধ্যেও যাতে অশান্তি ছড়িয়ে না পরে তার জন্য গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
এই ঘটনায় শুক্রবার কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim) জানিয়েছেন, ‘এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের দ্রুত ধরে বিচারের জন্য আদালতে তোলা হবে। তাদের জন্য কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি চাওয়া হবে। কিন্তু তারপরেও বলছি, এভাবে বাংলার মাটি থেকে বাংলার মানুষের মন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে মুছে ফেলা যাবে না। তৃণমূলকর্মীদের খুন করে কেউ বাংলার দখল নিতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তৃণমূল(TMC) কংগ্রেস বাংলার মানুষের মনে গেঁথে আছে। তৃণমূককর্মীদের খুন করে বাংলার মাটিতে তৃণমূলকে কেউ হারাতেব পারবে না। যারা এই কাজ করেছে তারা দ্রুত ধরা পড়বে আর কঠোর থেকে কঠোরতম সাজা পাবে। বিজেপি(BJP) যদি ভাবে তারা এই সব করে পার পেয়ে যাবে তো বড় ভুল করছে।’