নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনের(General Election 2024) আগে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) অন্দরে নবীন-প্রবীণ তত্ত্ব নিয়ে ঘরে বাইরে জোর পাচ্ছে চর্চা। এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় মুখ খুলছেন দলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কেরা। সম্প্রতি এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। তিনি বয়সের ঊর্ধ্বসীমা থাকার পক্ষে সওয়াল করেছেন। আবার দলের প্রয়োজনে যে প্রবীনদেরও প্রয়োজন সেটাও জানিয়েছেন। এবার এই ইস্যুতেই মুখ খুললেন কলকাতা মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দিলেন, ‘অভিষেক যেটা বলছেন, ঠিক বলছেন। বয়স হলে দৌঁড়নো সম্ভব না এটা ঠিক। তবে রাজনীতিতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা। রাজনীতি আর চাকরি আলাদা। অভিজ্ঞতার আলাদা দাম রয়েছে।’
ফিরহাদের বক্তব্য, ‘আমরা সবাই স্বেচ্ছাসেবক, কেউ কর্মী নই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বলেই আমরা রয়েছি। আমি চাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও ২০ বছর সুস্থ সবল থাকুন। দলে অনেক রকম কথা থাকে। তা নিয়ে আলোচনাও হয়। আমরা সবাই দলে নিজেদের মতামত জানাই। সেই গণতন্ত্র আমাদের দলে আছে। তারপর নির্ণয় নেন আমাদের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যা ঠিক করবেন আমরা শৃঙ্খলাপরায়ণ সৈনিক সেটাই করব। এটা আলোচনার মধ্যে ছিল। এক এক জনের এক একটা থিয়োরি। দলে এটা থাকা উচিত। উপর থেকে কোনও জিনিস চাপিয়ে দেওয়া হয় না। তাই পার্টির ভিতরে যা আলোচনা হয় তা বাইরে কখনওই বলব না। প্রার্থী হওয়ার বিষয়েও একমাত্র মাপকাঠি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা। আমি তো এখনও মনে করি ডায়মন্ডহারবারে সব থেকে বেশি গ্রহণযোগ্যতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তেমন অন্য কোনও জায়গায় আরও কারও হতে পারে। মিছিল-মিটিং ও মানুষের কাছে যাওয়ার ক্ষেত্রে নবীনদের প্রয়োজন। আমি যেমন এখন মধ্যবয়সী, কয়েকদিন পর প্রবীণ হব। আজ যাঁরা নবীন কাল তাঁরা মধ্যবয়সে পৌঁছবেন।’
এছাড়াও জানিয়েছেন, ‘মানুষের কাছে যাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তাঁকে প্রার্থী করা উচিত। সে প্রবীণ হলে প্রবীণ হবে, নবীন হলে নবীন হবে। যাদের মানুষ গ্রহণ করেছে, তাঁরাই থাকবেন। আমি নিজেকে মধ্যবয়স্ক বলি। আমি নিজে নবীন প্রবীণের মাঝখানে রয়েছি। শোভনদা (মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়) খুবই কাজ করতে পারেন। মদনদাও (বিধায়ক মদন মিত্র) কাজ করতে পারেন। সৌগতদা যে ভাবে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে কাজ করেন তা খুব কম জনপ্রতিনিধি করেন। আমরা তাঁর কাছে শিখি কী ভাবে নিজেদের নির্বাচনী কেন্দ্র সামলাতে হয়। প্রকাশ্যে আমাদের কারও এ বিষয়ে কথা বলা উচিত নয়। যা বলার বলা উচিত পার্টির অন্দরেই। সবার প্রয়োজন আছে দলে। মানুষের গ্রহণযোগ্যতাই শেষ কথা হওয়া উচিত।’