নিজস্ব প্রতিনিধি: পৌষমেলার ঐতিহ্যকে নষ্ট করার জন্য বদ্ধপরিকর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বোলপুর পুরসভা ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সঙ্গে যৌথভাবে মেলার আয়োজনের জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে আর্জি জানালে তাতে এখনও সাড়া দেয়নি। অগত্যা মেলার বিকল্প পথ খুঁজেছে বীরভূম প্রশাসন। রাজ্যের তথা বীরভূমের জেলার অন্যতম আকর্ষণ হল পৌষমেলা। যাকে কেন্দ্র করে বীরভূম জেলার পর্যটন শিল্পে লাভ হয়, এছাড়াও বহু মানুষের আনাগোনায় আয়ের রাস্তা খুলে যায়। সেই মেলায় বন্ধের প্রক্রিয়া করতে চাইছে বিশ্বভারতী। এমনই অভিযোগ বারবার করেছে এলাকাবাসীরা। তাই বিশ্বভারতীর দিকে তাকিয়ে না থেকে মেলার জন্য নিজেরাই উদ্যোগ নিল বীরভূম জেলা প্রশাসন।
পৌষমেলা শুরুর দিনেই, অর্থাৎ আগামী রীতি মেনেই ২৩ ডিসেম্বর ডাকবাংলো মাঠে শুরু হতে চলেছে সেই মেলা। চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। একইভাবে ১ জানুয়ারি থেকে রাজ্যের ক্ষুদ্র, কুটির ও বস্ত্রশিল্প দফতরের উদ্যোগেও বোলপুরে বিশ্ববাংলা ক্ষুদ্র বাজারে মেলা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গত সোমবারব নবান্ন থেকে ওই দফতরের সচিব-আধিকারিকরা মেলার মাঠ দেখতে আসেন। ছিলেন দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই জায়গাতেই হবে মেলা। এই বিষয়ে বীরভূম জেলার জেলাশাসক বিধান রায় জানিয়েছেন, ‘বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে ২৩ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেলার আয়োজন হতে চলেছে। এই মেলায় রবীন্দ্র-ঐতিহ্য মেনে কুটির এবং হস্তশিল্পকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
এই মেলার প্রসঙ্গে আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর জানিয়েছেন, ‘রবীন্দ্র ঐতিহ্য মেনে যেভাবে পৌষমেলার সময় আরেকটি মেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেজন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।’