নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘ছিল রুমাল, হয়ে গেল বেড়াল’, সুকুমার রায়ের গল্পটা মনে পড়ছে? না এখানে অবশ্য রুমাল থেকে বেড়াল নয় তবে কিছুটা সেরকমই চমকে ওঠার মতো। ছিল ১১টা শূন্যপদ, হয়ে গেল ১৯ জনের নাম প্রকাশ। চাকরির জন্য তাঁদের নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে যোগ দিতেও বলা হয়েছে। ঘটানাটি দক্ষিণ দিনাজপুর(Dakshin Dinajpur) জেলার সদর শহর বালুরঘাটের(Balurghat) এক ব্যাঙ্কের। আর গোটা ঘটনা সামনে আসতেই বিস্মিত সকলে। বালুরঘাটের এই ব্যাঙ্কের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
বালুরঘাটের সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের(Central Co-operative Bank) শূন্যপদে নিয়োগ করতে চেয়ে চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রকাশিত হয়েছিল বিজ্ঞপ্তি। বলা হয়েছিল, ফাঁকা রয়েছে ১১টি পদ(Post)। তার জন্যই লোক নেওয়া হবে। কিন্তু যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ হতে দেখা গেল নাম প্রকাশ হয়েছে ১৯ জনের। অর্থাৎ ৮ জন বেশি। তবে কী শূন্যপদ ছিল ১৯টিই? কেন বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয়নি তা? এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে উত্তীর্ণদের যোগ দিতে বলা হয়েছে। প্রকাশ করা হয়েছে আরও ২১ জনের নাম। ফল প্রকাশের দিন উত্তীর্ণদের তালিকা বেরোতেই উঠেছে স্বজনপোষণের অভিযোগ। সুর চড়িয়েছে অনুত্তীর্ণ ও বিরোধীরাও। এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে ব্যাঙ্ক চেয়ারম্যান ও জেলাশাসককেও।
অভিযোগ, গ্রুপ ডি পদে ১১টি শূন্যপদ ছিল। আবেদন জানিয়েছিলেন প্রায় এক হাজার আশি জন, তার মধ্যে পরীক্ষায় বসেন ৮৪২ জন। ফল প্রকাশ হতে দেখা যায় উত্তীর্ণদের নামের তালিকায় রয়েছে ১৯ জনের নাম। সকলকেই আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে যোগ দিতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত আরও ২১ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জেলা শাসক আয়েশা রানি বলেন, অভিযোগ এলে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আর এখানেই বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দলের পছন্দের পাত্রপাত্রীদের চাকরি দিতেই ১১ জনের জায়গায় ১৯জনের নাম প্রকাশ পেয়েছে।