এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সিঙ্গুরকাণ্ডে মমতা ও তৃণমূলকে ক্লিনচিট দিলেন সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূল(TMC) ছেড়ে বিজেপিতে(BJP) গিয়ে একুশের ভোটে পদ্মপ্রার্থী হিসাবে লড়াই করেও হেরে যান তিনি। কার্যত তারপর থেকে রাজ্য রাজনীতির মঞ্চে আর দেখাও যায়নি তাঁকে। এখন আবার তিনি ভেসে উঠলেন সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনকে(Singur Movement) হাতিয়ার করেই। তিনি সিঙ্গুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য(Rabindranath Bhattacharya)। সিঙ্গুরের মানুষ তাঁকে মাস্টারমশাই নামেই বেশি চেনেন। গতকালই সামনে এসেছে ৩ সদস্যের Arbitral Tribunal টাটা মোটরস গোষ্ঠীকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। ক্ষতিপূরণের ওই অঙ্ক ছাড়াও ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে হিসেব করে ১১ শতাংশ সুদ মেটাত হবে। এছাড়াও মামলার খরচ বাবদ আরও ১ কোটি টাকাও দিতে হবে টাটা গোষ্ঠীকে। সব মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। এবার সেই প্রশ্নের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) তথা তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্লিনচিট দিলেন তিনি।

একুশের ভোটের আগেই ফুল বদল করেছিলেন সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই। বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন ও টাটাদের বিদায় প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনকেই দায়ী করেছিলেন। এখন তিনি পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে টাটাদের ন্যানো কারখানা ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রশ্নে মমতা ও তাঁর সরকারের পাশেই দাঁড়িয়েছেন আর সেটাও পূর্বতম বামফ্রন্ট সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে। এদিন তিনি জানিয়েছেন, ‘টাটারা সিঙ্গুর ছেড়ে চলে যাক, এটা কখনই চাইনি। টাটা চলে যাওয়ায় জন্য সিঙ্গুর-সহ রাজ্যের ক্ষতি হলেও তার জন্য বর্তমান সরকার দায়ী নয়। যদি কেউ দায়ী হয়ে থাকে তাহলে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার।‌ তবে টাটা চলে যাওয়ার জন্য আন্দোলন কিছুটা দায়ী। আমরা সিঙ্গুরের আন্দোলনকারী হিসাবে তখন চেয়েছিলাম ৬০০ একর ছবিতে টাটাদের কারখানা হোক। বাকি জমি কৃষকদের ফেরত দেওয়া হোক। তৎকালীন রাজ্যপালের কাছে চুক্তি হলেও পরবর্তীকালে সেই চুক্তি অগ্রাহ্য করে তৎকালীন সরকার। ট্রাইবুনালের যে রায় টাটাদের দিক থেকে তা যুক্তিসঙ্গত কারণ কেননা তাঁদের প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু সেই দাবি রাজ্য সরকার মানবে কিনা সেটা সম্পূর্ণ সরকারের ব্যাপার। কারণ বর্তমান সরকার বা বর্তমান শাসক দলের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরকার আদালতেও যেতে পারে বিষয়টা সম্পূর্ণ বর্তমান রাজ্য সরকারের ব্যাপার।’

যদিও ঘটনা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই দাবি করেছেন, ‘আমি টাটাকে তাড়াইনি। সিপিএম তাড়িয়েছে। ওরা জোর করে জমি নিতে গিয়েছিল। আমরা ফিরিয়েছি।’ এতদিন পর আবারও রবীন্দ্রনাথের গলায় ফিরল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রতি সমর্থন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মমতার সুর তো রবির গলায় ফিরল, কিন্তু রবি কী ফের ফিরবেন তৃণমূলে? সম্ভবত নয়। তিনি নিজেকে এখন রাজ্য রাজনীতি থেকেই গুটিয়ে নিয়েছেন। এদিন সিঙ্গুর নিয়ে তিনি মুখ খুললেও রাজ্য রাজনীতির দৈনন্দিন ঘটনাপ্রবাহ থেকে নিজেকে বেশ দূরে সরিয়ে রেখেছেন। শরীরও যে খুব ভালো এমন নয়। তাই বাড়িতে বসেই তাঁর দিন কাটছে। তবে তৃণমূলের তরফে তাঁকে ঘিরে কোনও চমক আগামী দিনে আসে কিনা সেটার দেখার অপেক্ষায় থাকবে রাজ্যবাসী। কেননা রাজনীতিতে চিরশত্রু বা চিরমিত্র বলে যেমন কিছু হয় না তেমনি সব শেষ একথাও বলা যায় না। সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই সেই হিসাবে ফের জোড়াফুলে তাঁর নয়া ইনিংস শুরু করতেই পারেন আগামীদিনে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

এবার দু ‘লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতব নির্বাচনে : কাকলি ঘোষ দস্তিদার

‘সিপিএম কিনলে কংগ্রেস ফ্রি, কংগ্রেস কিনলে সিপিএম ফ্রি’, দাবি মমতার

‘মানুষ কাঁদছে, বিজেপি হারছে, বুক দুরুদুরু করছে’, দাবি মমতার

‘অধীর চৌধুরীকে তৃণমূল বুঝিয়ে দেবে, বহরমপুর কার গড়’, দাবি নাড়ুগোপালের

সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ দেবাশিস ধর, মামলা শুনতে সম্মত শীর্ষ আদালত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর