নিজস্ব প্রতিনিধি: রানাঘাটের ডাকাতির তদন্তে করতে গিয়ে বর্ধমানের কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝায়ের খুনির হদিশ পেল পুলিশ। ডাকাতির ঘটনায় ইতিমধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কুন্দন সিং ওরফে ফাইটারের হাতেই খুন হয়েছিলেন বর্ধমানের সেই কয়লা ব্যবসায়ী। এমনটাই দাবি করল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল শনিবার রাত ৮টা নাগাদ শক্তিগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে খুন করা হয়েছিল রাজুকে। সেই ঘটনার পর হত্যাকারীকে খুঁজছিল পুলিশ। সেই খুনের ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত। চার মাস পর রাজু খুনের মূল পাণ্ডা কুন্দন ধরা পড়লেন ডাকাতির ঘটনায়। পুলিশ সূত্রে খবর, রানাঘাটের ডাকাতির ঘটনায় জড়িত রাজু পাসোয়ান, রিক্কি পাসোয়ান এবং মণিকান্ত যাদব, তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি বিহারের বৈশালীতে। কুন্দনের হাত ধরেই এই তিনজন অপরাধ জগতে পা রাখেন।
ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ‘সুপারি কিলার’দের সিন্ডিকেট চালাতেন কুন্দন। তাঁর সেই সিন্ডিকেটের জাল পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল, ঝাড়খণ্ড, বিহার, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগড়েও বিস্তৃত । খুন, ডাকাতি-সহ বিভিন্ন অপরাধের সুপারি নিতেন ওই অভিযুক্ত। তার পর সেই চুক্তি অনুযায়ী দুষ্কৃতীদের জোগাড় করে এক জায়গায় জড়ো করে সেই সব ‘অ্যাসাইনমেন্টে’ পাঠাতেন। রাজু, রিক্কি এবং মণিকান্তকেও ডাকাতির কাজে নিয়োগ করেছিলেন এই কুন্দন। আসানসোল ছাড়াও রাজ্যের আরও তিনটি সিন্ডিকেট রয়েছে কুন্দনের। সেই মডিউল কোথায় কোথায় সক্রিয় তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।