নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কথিত রয়েছে, বাঙালিদের ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। সত্যিই তাই। এক উৎসবের আমেজ কাটতে না কাটতেই অপর উৎসব। তেমনই হিন্দু ধর্মশাস্ত্র অনুসারে রবিবার রান্না পুজো। সারারাত জেগে রান্না করতে হয় এই পুজোর দিন। তবে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত। মাছের দাম দর ছাড়িয়েছে। ফলে পুজোর সামগ্রী যোগাড় করতেই হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত বাঙালি।
এই রান্না পুজো দেবী মনসার উদ্দেশ্যে করা হয়। রান্নার উপকরণে মাছ লাগেই। অথচ বাজারে ইলিশের দর হাত না দেওয়ার মত। আড়াইশো গ্রামে মাছের দর ৬০০ টাকা। ৫০০ গ্রাম মাছের দাম ৮০০ টাকা। ১ কেজি মাছের দাম ১৯০০ থেকে ২ হাজার টাকা। পাশাপাশি মূল্যের দিকে রুই কাতলা সমান তালে তাল রেখেছে। ১-২কেজি রুই কাতলার দাম ২২০ থেকে ২৩০। চিংড়ি মাছ প্রতি কেজি ২৫০,৩০০,৪০০ টাকা।
ফলে অধিকাংশ ক্রেতার বক্তব্য, গত বছর মাছের দাম কম থাকায় দু-তিন কিলো কিনেছিলেন। এবছর দাম বেশি থাকায় পকেটে টান পড়েছে। ইলিশভর্তি ট্রলার ডুবেছে বঙ্গোপসাগরে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে মৎস্যজীবীদের। এরমধ্যে যেকটা ইলিশ জালে উঠেছে। তা ছুঁতে গেলেও যেন ছ্যাকা। তবুও বাঙালির রীতি রেওয়াজে খামতি নেই। মূল্য বাড়লেও উৎসব চলবে।