এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

এসএসসি’র পরে এবার খাদ্যদফতর, চাকরি গেল ৬১৪জনের

নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় বলে ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের এক মন্ত্রীর মেয়ে সহ শতাধিক জনের চাকরি গিয়েছে। আর সেই সব নিয়োগের ঘটনা ঘটেছিল তৃণমূলের জমানায়। তাই রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করা শুরু করে দিয়েছিল বিরোধীদলগুলি। এবার সেই বিরোধী পক্ষের অন্যতম বামেদের মুখ এবার পুড়ছে তাঁদের আমলে নিয়োগ হওয়া ৬১৪জনের চাকরি যাওয়ার কারনে। রাজ্যের খাদ্যদফতরে(State Food and Supply Department) ২০১০ সালে নিয়ম ভেঙে গ্রুপ-ডি(Group-D) পদে নিয়োগ করা হয় এই ৬১৪জনকে। সেই ঘটনার জেরে মামলা দায়ের হয় রাজ্যের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা স্যাটে(SAT)। এবার সেই মামলাতেই ওই ৬১৪জন গ্রুপ-ডি স্টাফের চাকরি বাতিল করে দিল স্যাট। শুধু তাই নয়, যারা এই ৬১৪ জনকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করেছিল সেই সিলেকশন বোর্ডের ৫জন সদস্য সহ এই ঘটনায় আরও যারা যারা জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশও দিয়েছে স্যাট।

জানা গিয়েছে, বাম জমানার একদম শেষ দিকে ২০০৮ সালে রাজ্যের খাদ্যদফতর গ্রুপ-ডি পদে কর্মী(Staff) নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। সেই বিজ্ঞাপ্তির জেরে লক্ষাধিক আবেদন জমা পড়ে। কিন্তু প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে না করে খাদ্যদফতর নিজে কেন এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে? যদিও সেই সময় এই প্রশ্নের কোনও উত্তর মেলেনি খাদ্যদফতর কিংবা বাম সরকারের তরফে। পরে দেখা যায় ৬১৪টি গ্রুপ-ডি পদে যাদের নিয়োগ করা হয়েছে তাঁদের কোনও লিখিত পরীক্ষাই দিতে হয়নি। শুধুমাত্র ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল। ২০১০ সালে ওই নিয়োগের ঘটনা ঘটে ও ওই কর্মীদের রাজ্যের খাদ্যদফতরের কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন অফিসে স্থায়ী পদে নিযুক্ত করা হয়। আর তা ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। ঘটনার জেরে প্রথমে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court)।

২০১৬ সালের ১০ জুন কলকাতা হাইকোর্ট ওই মামলাটি শুনানি শেষে স্যাটে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। সেই সময়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল, খাদ্যদফতর এই কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কোনও সহায়তা নেয়নি। পরিবর্তে নিজেরাই সিলেকশন কমিটি তৈরি করেছিল। সেই কমিটি আবার একদিনে ৮০০ জনের ইন্টারভিউ নিয়েছিল, যা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। সেই হিসাবে ৮০০জনের ইন্টারভিউ নেওয়া কার্যত অবিশ্বাস্য ব্যাপার। সিলেকশন বোর্ডের দুইজন সদস্যের নাম উল্লেখ করে হাইকোর্ট সেই সময় এটা জানিয়েছিল যে, ওই দুই সদস্যের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা চাকরিপ্রার্থী ছিলেন। ওই দুইজন সদস্য ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশ নেননি, এমন কোনও তথ্যও আদালতের কাছে পেশ করা হয়নি। বরং নথিপত্র থেকে দেখা যাচ্ছে, কমিটির পাঁচ সদস্য ২০০৯-এর ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন।

এরপরেই স্যাটের হাতে আসে ওই মামলা। সেখানে চাকরি পাওয়া ওই ৬১৪জনকে মামলার প্রতিপক্ষ হিসাবে যুক্ত করা হয়। এমনকি তাঁদের বাড়িতে বার বার নোটিসও পাঠান হলেও এদের একজনও স্যাটে আসেননি। কার্যত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেআইনি ঘটনা ঘটেছে এটা প্রমাণিত হতেই স্যাটের বিচারপতি সৌমিত্র পাল ও প্রশাসনিক সদস্য সৈয়দ আহমেদ বাবার বেঞ্চ ওই ৬১৪জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী গৌতম পাঠক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রায়ের বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে। স্যাটের নির্দেশের প্রতিলিপি সরাসরি মুখ্যসচিবের কাছে পাঠান হয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, খাদ্যদফতরের সিলেকশান কমিটিতে যে ৫জন সদস্য ছিল এবং এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আরই যারা যারা জড়িত রয়েছেন তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। এদের শাস্তি দিতে বিভাগীয় তদন্ত সহ সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্য খাদ্যদফতরকে। আর তা করতে হবে আগামী দেড় মাসের মধ্যে। স্যাটের রায়ে তুলে ধরা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের একাংশ। সেখানে বলা হয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রহসন হয়েছে। স্বজনপোষণ ও পক্ষপাতিত্বও হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় এখন মুখ পুড়ছে বামেদের।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

বেনজির কাণ্ড, বীরভূমে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দুই প্রার্থীর

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো বিজেপি ‘অর্ডার ফিক্সিং’ করছে, তোপ অভিষেকের

অভিজিৎকে নিশানা বানিয়ে দেবাংশুকে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা

তমলুকে মমতার নিশানায় অভিজিৎ, বাদ পড়লেন না বিকাশও

ফের দুয়ারে ভোট, শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা হতাশার অন্ধকারেই দিন কাটাচ্ছেন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর